মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
এ বছর মঠবাড়িয়া উপজেলায় কুরবানির পশুর চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। চামড়ার আড়ৎদাররা সিন্ডিকেট করে গরুর চামড়া কম দামে ক্রয় করায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চরম লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না পেয়ে অনেকে চামড়া ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছে। উপজেলার প্রায় সর্বত্র ঈদের দিন চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলে। ট্যানরি মালিকদের চামড়া ক্রয়ে অনিহা এবং লবণের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায় ধস নামার অন্যতম কারণ বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ঈদের দিন উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু তালুকদার জানান, ২৮ শত টাকায় চামড়া কিনে ১ হাজার টাকা লোকসান দিয়ে ১৮শ টাকায় বিক্রি করেছে। মাঠ থেকে চামড়া ক্রয় করে বাচ্চু তালুকদারের মত অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী লোকসান দিয়েছে। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মিরুখালী রোডের চামড়ার আড়ৎদার বিমল দাশ জানান, ট্যানারি মালিকদের চামড়া ক্রয়ে অনিহার কারণে তারা চামড়া অনেক কম কিনেছে। তারপরও দাম পাবে কিনা তা নিয়ে তারা সন্দিহান। পৌর শহরের মুচি পাড়ার আড়ৎদার নান্টু দাশ জানান, গত বছরের চামড়ার শতকরা ৬০ ভাগ দাম তারা আজও পায়নি। এ বছর লবণের দাম বেশি এবং কম মূল্য নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে চায় না। এদিকে ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না থাকায় অনেক স্থানে কুকুরের খাদ্যে পরিণত হওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন