কুমিল্লা ইপিজেডের একটি বিদেশি জুতা কোম্পানির কর্মকর্তা খায়রুল বাশার সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয়া কালা ফাহিম ও আল-আমিন নামে আরো দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
রবিবার ভোরে কুমিল্লার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গোলাবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার ওই কর্মকর্তা খুনের মামলার প্রধান আসামি মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বাড়ি নগরীর দক্ষিণ চর্থায়। সে আবদুল হকের ছেলে। এনিয়ে চাঞ্চর্যকর এ হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার হলো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ অফিসার শাহিন কাদির জানান, মূল হত্যাকান্ডে যে কয়জন অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে ফাহিম ও আল-আমিন অন্যতম। ফাহিম দক্ষিণ চর্থার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে, গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলায়। আল-আমিন নগরীর গোবিন্দপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে খায়রুল বাশার সুমনের হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানবন্ধন করেছে তার সহপাঠী বন্ধু ও স্বজনরা। রবিবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা মামলার বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে কুমিল্লা ইপেজিডের সামনে ঘাতদের ছুরিকাঘাতে মারা যান খায়রুল রাশার সুমন। তার কর্মস্থল ইপিজেডের চায়না জুতা কোম্পানি সিং শ্যাং থেকে কয়েকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই কোম্পানীর এইচআর খায়রুল রাশার সুমনকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করে র্যাব ও পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন