সয়াবিনের রাজধানী হিসেবে খ্যাত উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সয়াবিন গাছের সমারোহ। চলতি মৌসুমের ফেব্রুয়ারি মাসে সয়াবিনের বীজ বোনা শেষ হয়। এখন পাকা সয়াবিন কাটা শুরু হয়েছে। চলছে ধুমধামে সয়াবিন কাটার কাজ। ভালো ফলন ঘরে তুলতে চাষিরা সারাদিন অবিরাম কাজ করছে মাঠে। রামগতি উপজেলার চরবাদাম,আলেকজান্ডার, চরপোড়াগাছা, চররমিজ, চরআব্দুল্লাহ, বড়খেরী ও চরগাজী ইউনিয়নসহ উপজলার প্রায় সর্বত্র বিস্তৃত মাঠ জুড়ে আবাদকৃত সয়াবিন কাটার ধুম। ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় কৃষকরা। সয়াবিন কাটা ও তোলার কাজে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা।এ বছর আবহাওয়া অনুকুল ও উর্বর মাটির কারণে এ অঞ্চলে সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়েছে।দেশের উৎপাদিত প্রায় ৮০ ভাগ সয়াবিন এ জেলা থেকে উৎপাদিত হয়।এখন রবি মৌসুম। তাই সয়াবিন আবাদ শেষে এখন সয়াবিন কাটা ও ঘরে তুলতে ব্যাস্ত কৃষকরা। মাঠ জুড়ে সয়াবিন পাকা শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম সবুজের বিস্তার। যেন ফসলের মাঠ নয়, সবুজে ঘেঁরা চাদর। বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় সারাদিন চলছে পাকা সয়াবিন কাটা ও মাড়ার প্রতিযোগিতা। সময়মত সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করায় ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন এখনকার কৃষকরা। অবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সয়াবিন আবাধে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কৃষকের স্বপ্ন। পাকা সয়াবিন কাটার ধুম পড়েছে রামগতির কৃষকদের মধ্যে। সয়াবিনের ফলন ভাল হওয়া এখন কৃষকদের মুখে হাঁসি। সোনালি ফসল ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
চরবাদাম এলাকার কৃষক নুরুল হক, কলাকোপা গ্রামের হোসেন আহমেদ, আলেকজান্ডার ইউনিয়নের তবারক আলীসহ অসংখ্য কৃষক এই প্রতিবেদককে জানান গত কয়েক বছরের লোকসানের ফলে অনেক চাষি সয়াবিন আবাদ করেনি। তারপরেও ধানের চেয়ে সয়াবিনের বেশি দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা সয়াবিন চাষ করেন। বর্তমানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাঠে সয়াবিন কাটতে ব্যস্ত হন কৃষকরা। এবার ভালো ফলনের প্রত্যাশায় তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠবে এখানকার কৃষকরা, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
রামগতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলিত মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের জন্য লাখ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে। এতে লাখ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি আবাদ হয়েছে এ উপজেলায় সয়াবিন চাষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও সময়মত সার বীজ প্রয়োগ করায় এবার ভাল ফলন হয়েছে। নির্ধারিত লাক্ষ্য মাত্রার চেয়ে এবার আবাদও বেশি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন