সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সীতাকুণ্ডে বাদামের বাম্পার ফলন

শেখ সালাউদ্দিন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

অধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় মুখোরচক খাবার দেশি চিনা বাদাম ছোট-বড় সবারই খুব পছন্দের খাবার। স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। শুধু তাই নয় বাদামে রযেছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন এক মুঠো চিনা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারলে শরীরের কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় সীতাকুণ্ড উপজেলায় চলতি মৌসুমে এ প্রথম ৫টি ইউনিয়নে দেশীয় ঢাকা-১ জাতের চিনা বাদামের চাষ করেছে কৃষক। এখানকার মাটির গুণাবলি ভাল এবং বাদাম চাষে উপযোগী বলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে মনে করছেন ছোট কুমিরা এলাকার কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, তিনি জীবনে কখনও চিনা বাদামের চাষ করেনি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে ঢাকা-১ জাতের ১৫ কেজি চিনা বাদাম সংগ্রহ করে গত ২৬ জানুয়ারি বীজ রোপন করি। পরিস্থিতি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার চাষকৃত চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি বলেন ৩৩ শতক জমিতে বাদাম উৎপাদন হয়েছে ১৫০ কেজি। সামনের মৌসুমে আরো বেশি জমিতে বাদাম চাষ করার আশা আছে। এ এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুজন কান্তি ঘোষ বলেন, কৃষক রফিক বিনা মূল্যে কৃষি অফিস থেকে ১৫ কেজি চিনা বাদাম ঢাকা-১ জাত সংগ্রহ করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৩৩ শতক জমিতে বীজ রোপন করেন। বর্তমানে তার জমিতে ১৫০ কেজি বাদাম উৎপাদন হয়েছে। চিনা বাদাম চাষে এখানকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও বাদামের ফলন দেখে অন্যান্য কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রতন কান্তি দত্ত বলেন, হালকা বেলে দোঁআশ মাটিতে চিনা বাদাম চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। সীতাকুণ্ডে চিনা বাদামের উৎপাদন ভাল হওয়ায় কৃষক পরিবারগুলো বাদাম চাষে এখন আগ্রহ বাড়ছে। তাই কৃষকরা বাদাম চাষ করলে উৎপাদন ও লাভ দুটোই তাদের ভাল হবে। বাড়বকুণ্ড নডালিয়া এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, তিনিও কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে প্রদর্শনীর জন্য ১৫ কেজি চিনা বাদাম ঢাকা-১ জাতের বাদাম সংগ্রহ করে ৪০ শতকে চাষ করেছেন। তবে আর কিছুদিনের মধ্যে তিনি বাদাম কর্তন শুরু করবেন।

তিনি বলেন, প্রথম চাষেই ভাল ফলন হবে বলে আমি আশা করছি। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার রঘুনাথ নাহা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কৃষি পর্যায়ে উন্নতমানের ফলন উৎপাদনে প্রদর্শনীর জন্য ৫টি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা, ছোট কুমিরা, বাড়বকুণ্ড, সৈয়দপুর, বগাচতর ব্লকে বিনা মূল্যে ৫জন কৃষকের মাঝে ১৫ কেজি হিসেবে ঢাকা-১ জাতের চিনা বাদাম বিতরণ করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ২.৫ মেট্রিক টন। প্রথম চাষেই কৃষকরা ভাল ফলন পেয়েছে। তাই চিনা বাদাম চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন