নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক সময়ে ফেলন ডালের ব্যাপক উৎপাদন হলেও বর্তমানে তা কমতে শুরু করেছে। আমন ধান কাটার পর উপকূলীয় এলাকায় তাপ ও ক্ষরা সয়িষ্ণু মধ্যমমাত্রার লবণাক্ততা সহ্য করে যে কোন আবহাওয়ায় ফেলন ডাল উৎপাদন হয়।
ফেলনে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি ও প্রোটিন আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ফেলনের মধ্যে ৩৩৬ কেলরি শক্তি পাওয়া যায়। এ ডালে ২৩-৩৫% প্রোটিন এবং ৫৪-৫৮% কার্বোহাইড্রেড থাকে। তাই পরিবারের পুষ্টি যোগাতে এর জুড়ি নেই। ফেলন ডালের পুষ্টিমানের কারণে কৃষক পরিবারে-এর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে।
অত্যন্ত পুষ্টিমান সমৃদ্ধ এ ডালের উৎপাদন সুবর্ণচরে কমে যাওয়ার বিষয়ে চর আমানুল্যার কৃষক মো. ফারুক জানান, ‘ডালের ছড়ায় পোকা ধরে নষ্ট হয়ে য়ায়, অনেক ক্ষেত্রে কৃষকের কষ্ট অনুযায়ী লাভ হয় না। তাই বর্তমানে এ ডাল উৎপাদনে অনেকের অনীহা আছে।
এছাড়া রবিশস্যের জমিতে গত দুই বছর ব্যাপক হারে বারোধান চাষ করায় বিভিন্ন প্রকার ডাল উৎপাদনে সুবর্ণচরের কৃষকগণ পিছিয়ে পড়েছে। তবে পোকা দমনসহ সরকারি সহযোগিতা পেলে কৃষকেরা পুণরায় ফেলন ডাল উৎপাদনে আগ্রহী হবে।’
কৃষক মো; জাহাঙ্গীর হোসেন এ ডাল উৎপাদনে তার সাফল্যের কথা জানান, তিনি তার ৪৮ শতক জমিতে ৭-৮ মন ডাল পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতি কেজি ফেলন ডালের বাজার দর ৬৫-৭০ টাকা। উৎপাদনের প্রথম একমাস ফেলন বাজারে পাওয়া যায়, কিন্তু চাহিদা থাকার পরেও পরবর্তীতে বাজারে খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, পোকা দমনে কৃষককে এগিয়ে আসতে হবে, এতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া বর্তমানে বারি ফেলন-১ চাষ হচ্ছে, আমরা শীঘ্রই এর উন্নতজাত ২ ও ৩ আনার চেষ্টা করছি। ডাল জাতীয় সকল রবিশস্যকে টিকিয়ে রাখার জন্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন