শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কোটি টাকার টেন্ডারে সরকারি ক্রয় নীতি উপেক্ষার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বানে সরকারি ক্রয় নীতিমালা উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্ব¡াধিকারী মোঃ মোশারফ হোসেন টেন্ডার আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বরাবর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন। ঠিকাদার মোঃ মোশারাফ হোসেন জানান, পরিকল্পিতভাবে পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে রোগীর পথ্য সরবরাহ, লিলেন ওয়াশিং, স্টেশনারী, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ও বিবিধ মালামাল ক্রয়ের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে ১৫ সেপ্টেম্বর সিডিউল ক্রয়ের সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সিডিউল ক্রয়ের আগে ৬ দিন অফিস সরকারি ছুটি ছিল। এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টেন্ডার দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয়। টেন্ডার দাখিলের আগের দুই দিন সরকারি ছুটি ছিল। সরকারি ক্রয় নীতি অনুযায়ী টেন্ডারের সিডিউল বিক্রয়ের তারিখ থেকে দাখিলের তারিখ পর্যন্ত যে কোন সময় টেন্ডার দাখিলের বিধান রয়েছে। কিন্তু এখানে টেন্ডার দাখিলের সময় শুধুমাত্র ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার পাইয়ে দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়নি। এমনকি ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও করা হয়নি। ফলে অনেক ঠিকাদার এ টেন্ডারে অংশ নিতে পারেনি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, টেন্ডারে এমন শর্ত আরোপ করা হয়েছে যা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৮ আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি ও বেআইনী। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিমল কৃষ্ণ বাইন ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের পছন্দের এক ঠিকাদারের সাথে গোপন আঁতাত করে অবৈধভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে পবিত্র ঈদউল আযাহার ছুটির সময় এ টেন্ডার আহ্বান করেছেন। অন্যান্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যাতে এ টেন্ডারে অংশ নিতে না পারে সেভাবেই সিডিউল সাজিয়ে বেআইনী টেন্ডার আহবান করা হয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ বিমল কৃষ্ণ বাইন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি ক্রয় নীতি অনুসরণ করেই এ টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এখানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে ২১ দিন টেন্ডার দাখিলের সময় দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সময় দেয়া হয়েছে ২৩ দিন। এখানে বিধি অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সুতরাং কাউকে কাজ পাইয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, নোটিশ বোর্ডে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এক ঠিকাদারের প্রেরিত লিগ্যাল নোটিশ আমরা পেয়েছি। সময়মত আমাদের পক্ষ থেকে লিখিত জবাব দেব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন