আফতাব চৌধুরী
যেখানে আমরা আজ হতাশার সাগরে নিমজ্জিত সেখানে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে কি ভাবতে পারি? তারা কি অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে না? ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পানি সংকট, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং দেশের সার্বিক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এ দেশের জনগণ চরম দুর্ভোগের মধ্যে কালাতিপাত করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, নৃশংস খুন, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানাবিধ ঘটনায় দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সমাজের নৈতিক অবক্ষয়, হিংসা, অহংকার, ক্রোধ-বিদ্বেষ, ছিনতাই, লোভ, শঠতা, ঘুষ, দুর্নীতি, প্রবঞ্চনা, স^ার্থপরতা, প্রতারণা, মোনাফেকী, অন্যায়-অবিচার, জুলুম যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে সমাজ তথা দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। আমাদের সমাজ জীবনে জীবন্ত হয়ে আছে চরম অবক্ষয়ের চিত্র। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, অফিস-আদালত থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ অবক্ষয় বিদ্যমান। এ অবক্ষয় ধীরে ধীরে প্রভাবিত করছে সমাজকে, কুলষিত করছে প্রত্যেকের মন-মানসিকতাকে। আমাদের দেশে আজকের এ পরিস্থিতির জন্যে অনেক কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে তার মধ্যে নৈতিকতার অবক্ষয়কে প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাই আমাদের দেশে সুখ, শান্তি, স্ব^স্তি চাইলে আমাদেরকে নৈতিকতার অবক্ষয় রোধ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, নৈতিকতার অবক্ষয় রোধ কিভাবে সম্ভব?
কয়েক বছর আগে কোন এক সরকারি কলেজের একটি বার্ষিকীতে একটি প্রবন্ধ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। লেখাটি ছিল একজন অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষের। লেখাটির শিরোনাম ছিল, নৈতিকতার অবক্ষয় রোধে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি লেখাটি শুরু করেছেন এভাবে ঃ কোন দেশের উন্নতি, অবনতি বহুলাংশে নির্ভর করে জনগণের নৈতিক শক্তির উপর। কেননা নৈতিক শিক্ষা মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান করে। যে দেশের জনগণের নৈতিক অধঃপতন দেখা দেয়, সে দেশ প্রচুর সম্পদের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করতে পারে না। আপামর জনসাধারণের উন্নতি ব্যতীত কতিপয় লোকের উন্নতির দ্বারা কোন দেশ উন্নতির বা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারে না। অতএব একটি দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নতি ও প্রগতির জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা।
সাধারণত, মানুষ গৃহ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে নৈতিক শিক্ষা লাভ করে থাকে। নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষা। ধর্মের মাধ্যমে মানুষ আদব-কায়দা, আচার-আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করে। বিশ্বনবী (দঃ) বলেছেন প্রত্যেক নর-নারীর পক্ষে জ্ঞান আহরণ করা ফরজ। কারণ, জ্ঞানই মানুষকে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, সত্য-অসত্য, পাপ-পুণ্য ইত্যাদির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে শেখায়।
এ ধরনের লেখা অনেকেই লিখেছেন, আমিও লিখেছি, অনেকে পড়েছেন, আমিও পড়েছি। কিন্তু এ লেখাটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করার কারণ প্রবন্ধের লেখক আমার পূর্ব পরিচিত। তিনি সিলেট অঞ্চলের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের অধিবাসী। বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের অধ্যক্ষের পদও অলঙ্কৃত করেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে চাকরির মেয়াদ শেষ হলে অবসরে যান।
আজ আমি প্রফেসর সোলাইমান চৌধুরী লেখাটির আলোচনা করতে গিয়ে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। এ কারিগরের দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক বছর। যেহেতু সে পেশায় নিয়োজিত ছিলেন নিশ্চয়ই তাঁর অভিজ্ঞতার একটা মূল্য রয়েছে। তিনি যেহেতু এ দেশে বসবাস করেছেন কোন কিছুই তাঁর দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। তিনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত অবলোকন করেছেন। অতএব তাঁর জ্ঞান, তাঁর অভিজ্ঞতা, তাঁর অনুধাবন শক্তি এবং তাঁর মূল্যবান কথাকে অবশ্যই আমাদের গুরুত্ব দেয়া উচিত। প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে সকল প্রকার লোভ-লালসা, প্রলোভন ও অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। এ শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী, সৎ, নম্র, বিনয়ী ও চরিত্রবান হতে সাহায্য করে। সুতরাং ছোটবেলা থেকে ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি সবিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। বড় দালানকোঠা নির্মাণ করতে হলে যেমন এর ভিত্তি মজবুত হওয়া আবশ্যক তদ্রƒপ ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে হলে তাদের শৈশবকালের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিত। কারণ শৈশবকালই ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবন গঠনে সহায়তা করে। ভিত্তি সুদৃঢ় ও মজবুত না হলে বিল্ডিং যেমন ধূলিস্যাৎ হবে তদ্রƒপ ছোটবেলায় সুশিক্ষা না পেলে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। অতএব ভিত্তি মজবুত করার জন্যে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রফেসর সাহেব তাঁর প্রবন্ধে আরো উল্লেখ করেছেন, ‘ছোটবেলায় ছেলেমেয়েদেরকে অজু, গোসল, নামায, রোযা, যাকাত, ফেৎরা, কোরবানী ও অন্যান্য বিষয়সমূহ খুব ভালোভাবে শিক্ষা দিতে হবে। এগুলো আমল করার জন্যে তাগিদ দিতে হবে। বাল্যকাল থেকে ছেলেমেয়েরা যদি ধর্মীয় শিক্ষা ও আদর্শের প্রকৃত অনুসারী হয় তা হলে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন যে সুন্দর হবে তাতে সন্দেহ নেই।’ তিনি আরো উল্লেখ করেছেন ‘সমাজ জীবনে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পরিবারের প্রধান মা-বাবা ধর্মীয় রীতিনীতি ও আদর্শ মেনে চলেন এবং ছেলেমেয়েদের সেভাবে গড়ে তুলবার চেষ্টা করেন, সাধারণত সে পরিবারের ছেলেমেয়েরা হয় সৎ ও চরিত্রবান। প্রফেসর সাহেব তাঁর প্রবন্ধে আরো উল্লেখ করেছেন, সমাজে কোন ব্যক্তি প্রতিভাবান কিংবা প্রচুর সম্পদের অধিকারী হতে পারে কিন্তু তার যদি নৈতিক অধঃপতন ঘটে তাহলে সে ব্যক্তি দেশকে কিছু দিয়ে যেতে পারে না। বিদ্যা অর্জন করলে বা বিত্তশালী হলে মানুষ ভালো-মন্দ বুঝতে পারে, এ কথা ঠিক নয়, কেবলমাত্র বিবেক ও নৈতিক জ্ঞানই মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। আমাদের সমাজ জীবনে আজ দারুণ হাহাকার। বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ যেমন- চাঁদাবাজি, মাস্তানি, ঘুষ, দুর্নীতি, অত্যাচার, অনাচার, জুলুম, উৎপীড়ন, শোষণ, নারী নির্যাতন, খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই ইত্যাদি সমাজ জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। মারাত্মক ব্যাধিরূপে এগুলো সমাজ জীবনকে পঙ্গুতে পরিণত করেছে। শহরে, বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে, হাটেবাজারে, রাস্তাঘাটে চলার পথে কোথাও নিরাপত্তা নেই। বলাবাহুল্য, এসব ঘটছে নৈতিক অধঃপতনের জন্য। আর এসব থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায় হলো নৈতিক চরিত্রের উন্নতি। সে জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় শিক্ষা।
দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর মনের ইচ্ছাটি প্রবন্ধের শেষের দিকে বর্ণনা করেছেন তিনি এভাবে- মানবিক মূল্যবোধের অভাব ও নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে দেশ বা জাতিকে বাঁচাতে হলে আর কালক্ষেপণ না করে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষাকে একটি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে প্রবর্তন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। কেননা নৈতিকতা বিবর্জিত কোন শিক্ষা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।’
ইদানীং অনেকেই ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে, ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করে। দেশে বোমাবাজির ঘটনা কারো অজানা নয়। কতিপয় মুখোশধারী বিপথগামী লোকের কর্মকা-ের জন্যে ধর্মকে দায়ী করা যায় না। জীবন চলার পথে লক্ষ্য করেছি এসব ভ-, মুখোশধারী লোকদের কর্মকা-ের জন্যে কেউ কেউ দাড়িওয়ালা লোকদের পর্যন্ত বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করেছে। অনেককেই দেখি ধর্ম বিষয়ে বেশি লেখাপড়া না করেই ধর্মের গভীরে না গিয়ে মনগড়া আলোচনার প্রয়াস চালায়। সমাজে আমরা যেমন অনেক জ্ঞানী লোক দেখতে পাই তেমনি অনেক জ্ঞানপাপী ও জ্ঞানমূর্খও আমাদের চোখে পড়ে। সাধারণত যাদের জ্ঞানের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ যুক্ত হয় না তারাই জ্ঞানপাপী হয়ে যায়। তাদের কিছু লেখা পড়ে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। তারাই সমাজে জ্ঞানমূর্খ হিসেবে চিহ্নিত আর তাদেরকেই ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন রকম অপকর্মে ব্যবহার করে। সত্যিকার অর্থে যারা ধর্ম পালন করে তারা কোনদিন মানুষ হত্যার মতো ঘৃন্যঅপরাধ করতে পারে না।
‘আত্মঘাতী বোমা হামলা’ সেটাও বিপথগামীদের কর্মকা-। আমাদের ধর্ম ইসলাম কোনদিন আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না বরং এটি মহাপাপ হিসেবে বিবেচিত। কেউ কেউ অন্যদেরকে নিয়ে একসাথে মৃত্যুবরণ করাকে জিহাদ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারে। কিন্তু এটা আয়নার মতো পরিষ্কার যে, দেশের অধিকাংশ মুসলমান বাদ দিয়ে কতিপয় বিপথগামী লোকের কর্মকা-কে কোন অবস্থাতেই জিহাদ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না। এরা বিপথগামী, দেশ তথা সমাজের কাছে এদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমরা আমাদের প্রতি ওয়াক্ত নামাজের প্রতিটি রাকাতে এই পথভ্রষ্টদের পথে না থাকার জন্যে, তাদের মতো ভ্রান্ত পথে না চলার জন্যে, তাদের মতো অভিশপ্ত না হওয়ার জন্যে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রার্থনা করি। তার প্রমাণ হচ্ছে, সূরা আল ফাতিহা- পবিত্র আল কোরআনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সূরা। প্রথমতঃ এ সূরা দ্বারাই কোরআনুল করীম আরম্ভ হয়েছে এবং এ সূরা দিয়েই মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত নামাজ আরম্ভ হয়। এ সূরার নাম ফাতিহাতুল কিতাব বা কোরআনের উপক্রমণিকায় রাখা হয়েছে। সূরা ফাতিহা এদিক দিয়ে সমগ্র কোরআনের সার সংক্ষেপ। এ সূরায় সমগ্র কোরআনের সারমর্ম সংক্ষিপ্তাকারে বলে দেয়া হয়েছে। এ সূরাকে সহীহ হাদিসে, ‘উন্মুল ক্বোরআন’, ‘উম্মুল কিতাব’ কোরআনে আযীম বলেও অভিহিত করা হয়েছে। এ সূরা ফাতিহায় সর্বমোট সাতটি আয়াত। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম আয়াতটি বাংলায় অনুবাদ করলে আমরা দেখি (চতুর্থ) আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি (পঞ্চম) আমাদিগকে সরল পথ প্রদর্শন কর (ষষ্ঠ) তাহাদের পথ, যাদের ভূমি অনুগ্রহ দান করেছ। (সপ্তম) তাদের পথ নয় যারা ক্রোধ নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।
আমরা যেখানে নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা করি অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্টদের পথে আমাদের পরিচালিত না করার জন্যে সেখানে আমরা কিভাবে এমন অন্যায়, এমন ঘৃন্য পাপ করতে পারি? সত্যিকার অর্থে যিনি মুসলমান তিনি এমন বোমাবাজির সাথে জড়িত থাকতে পারে না, সত্যিকার কোন মুসলমান এদেরকে উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত এবং প্রশ্রয় দিতে পারে না। এসব হত্যাকা-কে সত্যিকার কোন মুসলমান সমর্থনও করতে পারে না। যারা এসব কাজ করছে তারা পথভ্রষ্ট, তারা অভিশপ্ত। কেউ যদি এই পথভ্রষ্টদের সহযোগিতা ও সমর্থন করে কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কাছে তাকে জবাব দিতে হবে।
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, কোন ধর্ম এসব অন্যায়কে অনুপ্রাণিত করে না, প্রশ্রয় দেয় না। আমার ধারণা নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণেই অনেক ধরনের পাপ ও অন্যায়ের পথ প্রশস্ত হয়। অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্টরাই সমাজে বিভিন্ন রকমের পাপ ও অন্যায় করতে বিন্দুমাত্র সংকোচবোধ করে না। তাদের কারণেই সমাজ তথা দেশে পাপাচার ও অনাচারের মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। তাই আমিও অভিজ্ঞ, জ্ঞানী, ধর্মপ্রাণ প্রফেসর সোলাইমান চৌধুরীর সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, সমাজ জীবনে নৈতিকতার অবক্ষয় রোধে এবং মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন