আদমদীঘিতে মোবাইল চুরির অপবাদে মো. সুরুজ নামের এক প্রতিবন্ধি যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসালয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় গ্রামবাসী। সে ওই গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ঈদের পরদিন উপজেলার কাশিমিল্লা গ্রামের শরেফুলের মার্কেটের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে ওই মোবাইল চুরির সন্দেহে ওইদিন রাতে প্রতিবন্ধি যুবক সুরুজকে ধরে মোবাইল মালিকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাত-পা এক সাথে বেধে লাঠি দিয়ে মারপিট করে শরেফুল ও তার ছেলে নাহিদ, মৃত আক্কেল আলীর ছেলে বুলু, জয়মতুল্লার ছেলে রাজু এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার মামুন। পরে ঘটনটি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডা. মোফাজ্জল হোসেন বাচ্চুর চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা করায়। সুচিকিৎসা না পেয়ে তার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গেছে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোন মালিক শরেফুল বলেন, আমি মারিনি। স্থানীয় মেম্বার একটু ভয়ভীতি দেখিয়েছে। প্রতিবন্ধির চিকিৎসক ডা. মোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু জানান তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ওসি মো. জালাল হোসেন বলেন, মোবাইল ফোন চুরি বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। কাউকে মারপিট করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারমান জানান, কাল বিষয়টি নিয়ে বসা হবে। সেখানে সত্য-মিথ্যা জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন