পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় কথিত চুরির অভিযোগে সবুজ (১৩) নামের এক কিশোরকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর এখন পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের পবনখালী বাজারের মুদি দোকানদার ফিরোজ মিয়া মোবাইল রিচার্জের কার্ড চুরির কথিত অভিযোগে একই উপজেলার গাংকুল আহুতিয়া গ্রামের মৃত বোরহান উদ্দিনের ছেলে সবুজকে (১৩) ডেকে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে সবুজের গলায় চাপা দিয়ে আখ কাটার ছোরা দিয়ে ভয় দেখিয়ে তার বাম হাতে এলোপাতাড়ি পুচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে এবং লাঠি দিয়ে তাকে বেধরক পেটায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে কথিত চুরির অভিযোগে সবুজকে অমানুষিক নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাড়া দিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অমানুষিক অত্যাচারের জন্য অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় ক্ষতবিক্ষত হাত নিয়ে সুবজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছে। তার বাম হাতে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। চুরির বিষয়টি অস্বীকার করে সবুজ জানায়, সে চুরি করেনি। তারপরেও তাকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। সবুজের ফুফু বিলকিছ বেগম জানান, সবুজ রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তার বাবা অনেক আগেই মারা গেছে। মা নাজমা বেগম জর্ডানে দুই বছর যাবৎ গৃহপরিচালিকা হিসেবে কাজ করছে। সবুজ সম্পূর্ণ নির্দোষ। সবুজকে অহেতুক ফিরোজ মিয়া অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তিনি ফিরোজ মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন