গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রক্ষপুএ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গ্রামীণ রাস্তাসহ পাকা রাস্তাগুলো ভেঙে যাওয়ার ফলে কোন প্রকার যানবহন চলাচল করছে না। এমনকি রাস্তাঘাটের অংশে একাধিক ব্রিজ কালভাট ভেঙে যাওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া, ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি, গজারিয়া ও উদাখালি ইউনিয়নের হাজির হাট, রতনপুর, হটাৎ পাড়া দিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৩ লাখ মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হওয়া উপক্রম হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে এসব রাস্তার জরুরি কিছু মেরামত এবং ভেঙে যাওয়া ব্রিজ কালভাটের অংশে বাঁশের সাঁকো তৈরির মাধ্যমে পথ চলা ও বাই সাইকেল চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় রিকশা, অটোরিকশা, বন্ধ থাকায় এসব কর্মজীবীরা বেকার জীবনযাপন করছে। এদিকে নদী ভাঙনে গৃহহারা পরিবারগুলো সাময়িকভাবে এাণ সহায়তা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়া গৃহহীন পরিবারগুলো বাড়ির ভিটামাটিতে ফিরে গেলেও আবাসিক ঘরবাড়ি নির্মাণের উপকরণ অভাবে দরিদ্র পরিবারগুলো ছোট ছোট খুপড়ে তুলে ও পলিথিন দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফুলছড়ি উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে পুনর্বাসন সহায়তা এখনও দেয়া সম্ভব হয়নি। ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর ম-ল জানান এাণ সাহায়তা ছাড়া গৃহহীন পরিবারগুলো বাড়ির ভিটামাটিতে ফিরে গেলেও অনেকেই ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে পারেনি। তাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের সহায়তা দাবি করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন