সরকারি ভাবে আসে সহায়তা বিতরণ হয় সাথে লুটপাটেরও চলে মহোৎসব। অনিয়ম আর লুটপাটের উৎসবে সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয় হাজারো অসহায় দরিদ্র, দুঃস্থ, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী পরিবার গুলো। সেই সাথে ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) সুবিধা থেকে বাদ পড়লো ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী, দরিদ্র, দুঃস্থসহ শতশত অসহায় পরিবার।
জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি মহর উদ্দিন। স্ত্রী মালেকা কিছুটা সুস্থ্য থাকলেও পরিবারের সকলেই প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী মহর আলী বয়সের ভাবে নুয়ে পড়লেও স্ত্রী সন্তানসহ সারাদিন ভিক্ষা করেন যা পান তাই দিয়ে দিন পার করেন। এভাবেই চলে তার সংসার। ভিক্ষা করলে খাবার জোটে, না করলে উপোসে কাটতে হয়। সকলে ভিক্ষাবৃত্তির করেই জীবন ধারণ করলেও সরকারের দেয়া সদ্য ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) থেকে বঞ্চিত হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
হাজার হাজার পরিবারের জন্য আসা অনুদান তাহলে কে পাচ্ছে মন্তব্য করে অনেকে বলেন, কারা পাচ্ছে এসব সুবিধা নাকি বিতরইের নামে চলে লুটপাট। শুধু মহর আলী নয় বানুকিশামত এলাকার প্রতিবন্ধউ মৌসুমী, রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকায় অন্যের জায়গায় বাস করেন প্রতিবন্ধী ফরিদাসহ অনেকের ভাগ্যে জোটেনি ভিজিএফ কিংবা মানবিক সহায়তা (জিআর) বরাদ্দের টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে ২৫ হাজার ১৬২ পরিবারকে পরিবার প্রতি ভিজিএফ এর ৪৫০ টাকা ও ৩ হাজার ৭৫০ পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) এর পরিবার প্রতি ৪শ’ টাকা করে দেয়ার কথা। তবে বিভিন্ন ইউনিয়নে খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ সংশ্লিষ্টরা তালিকায় অনিয়ম করে নিজেদের পকেট ভারি করতে লুটপাটে নেমে পড়েছিলেন। ফলে শতশত পরিবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
নাম প্রকাশে কয়েকজন সুবিধাভোগি জানান, টাকা তুলতে ভাগও দেয়া লেগেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান বলেন, শুধু মহর, ফরিদা বা মৌসুমী কেন বরাদ্দ অনুযায়ী তো কোন অসহায় দুঃস্থ পরিবার বাদ পড়ার কথা নয়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন