পূর্ব শত্রুতা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সরকারী খাস জমির জলাশয় (ফিসারী) দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ৭৩ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি এবং ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলার বিকালে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা ভাটিপাড়া ও চংনওগাঁও গ্রামবাসীর মাঝে। দুই গ্রামের সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাট্টা ভাটিপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী আতাউল হক মিন্টু গংদের সাথে চংনওগাঁও গ্রামের শাহীন গংদের পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি সরকারী খাস জমির জলাশয় (ফিসারী) ইজারা নিয়ে তাদের বিরোধ তুঙ্গে উঠে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে বাট্টা ভাটিপাড়া এবং চংনওগাঁও গ্রামের শত শত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাঠে নামে। তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে চংনওগাঁও ও বাট্টা ভাটিপাড়ার কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এ কে এম মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) জোনাঈদ আফ্রাদ ও কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ্ নেওয়াজ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৭৩ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়। আহতদেরকে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এবাদুর রহমান জানায়, কেন্দুয়া হাসপাতালে ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ্ নেওয়াজ বলেন, পূর্বশত্রুতা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জলাশয় ইজারা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০/৩৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল ৭৩ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন