ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের ঝুঁকি এড়াতে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের হটলাইন নম্বর ১৬১১৩ চালু করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের হটলাইন নম্বর ১৬১১৩ চালু করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র থেকে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ঘুর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঘুর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় ৩১ জেলার পাশাপাশি দেশের সকল অঞ্চল থেকে ছোট বড় সব ধরনের লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এদিকে লঞ্চ হঠাৎ করেই চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজধানীর সদরঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কোথাও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফলে যাত্রীরা গিয়ে ফিরে গেছেন।
লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচলের (যাত্রী পরিবহন) পরিচালক ও সুরভী নেভিগেশনের নির্বাহী পরিচালক রিয়াজ উল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবেন তারা। ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-পটুয়াখালীসহ দেশের যেসকল রুটে তাদের লঞ্চ চলাচল করে তা আপাতত বন্ধ থাকছে।
ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরই মধ্যে উপকূলের মানুষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এবার লঞ্চ চলাচলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে টানা দেড় মাস পর গত ২৪ মে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়। লঞ্চ চলাচলের একদিন পরই ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে আবারও বন্ধ করে দিল বিআইডব্লিউটিএ।
এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ টপকে ওই পানি প্রবেশ করছে। সুন্দরবনের দুবলার চরসহ জেলে পল্লিগুলোর বেশির ভাগ এলাকা এরই মধ্যে ডুবে গেছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের হটলাইন নম্বর ১৬১১৩ চালু করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন