চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল বুধবার রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। তবে নদীতে কর্ণফুলী হয়ে সাগরের লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় ডিম ছাড়া নিয়ে শঙ্কায় ডিম সংগ্রহকারীরা।হয়তো বৃষ্টি হলে নদীর ভাটার টানে মা মাছেরা পুরোদমে ডিম ছাড়তে পারে।
সরেজমিন জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নমুনা ডিম ছাড়ায় বুধবার সকাল থেকে কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী হালদায় ডিম সংগ্রহের আশায় সরঞ্জাম নিয়ে নেমে পড়ে। কিন্তু সকাল থেকে দুপুর গড়ালেও কয়েকটি নৌকায় সেই নমুনা ডিমই আসে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাবে সাগরের পানি কর্ণফুলী হয়ে হালদায় প্রবেশ করায় হালদায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনাক্ত হয় হালদায় লবনাক্ত পানি। দুপুর ২ টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর হালদা পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় লবনের পরিমান .৪১ যা সাধারণের চেয়ে অনেক বেশী। পানিতে লবন শনাক্ত হওয়ায় এবং ঘূর্ণিঝড়ের সংকেতের কারণে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়বেনা বলে জানান ডিম সংগ্রহকারী মোঃ ফোরকান। তিনি বলেন, যে কোন প্রাকৃতিক বিপদ সংকেত হলে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়েনা। অতীতের অভিজ্ঞতা তাই বলে। এদিকে লবনের কারনে মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে পাওয়া নমুনা ডিমও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
নদীতে অবস্থান করা ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, বিকেলে নদীর ভাটার সময় যদি ডিম না ছাড়ে তাহলে আশা করছি (আজ) বৃহস্পতিবার পুরোদমে ডিম ছাড়বে তাও পরিস্থিতির উপর নির্ভর।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা প্রতিবেদককে জানান, এখনো পর্যন্ত নমুনা ডিম পাওয়া যাচ্ছে। পরিবেশ অনূকুলে না হলে আজ বুধবার ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা নেই।
নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন , ঘূর্ণিঝড় ইয়শের প্রভাব হালদায় পড়েছে। সাগরের লবনাক্ত পানি প্রবেশ করায় আজ বুধবার ডিম পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। তবে পরিস্থিতি ভাল হলে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছেড়ে দিতে পারে। উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন