ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে নৌযানসহ সব ধরনের সরঞ্জাম রক্ষায় খুলনা শিপইয়ার্ড ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সরকারি এ দু’টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্বক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।
পায়রা বন্দরকে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেতের আওতায় আনা হয়। বন্দরের সদস্য-প্রশাসন কমান্ডার রফিউল হাসাইনের নেতৃত্বে সব ধরনের নৌযান নিরাপদ নোঙরে রাখা হয়েছে। কয়েকটি নৌযানকে বন্দরের অনেক উজানে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের সব স্থাপনার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
কমান্ডার রফিউল হাসাইন ইনকিলাবকে জানান, ইয়াসসহ যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পায়রা বন্দরের সব জনবল নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত ছিলাম। সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি মনিটরিং করাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি। ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত দু’টি নৌযানও বন্দরের অদূরে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া বন্দরের ঘূর্র্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য নিজস্ব উৎপাদন ব্যবস্থাও প্রস্তুত রয়েছে। একটি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত ছিল।
অপরদিকে নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শিপইয়ার্ডে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষেণে থাকা নৌযানসহ পুরো ইয়ার্ডটিকে দুর্যোগ থেকে রক্ষায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর জাকিরুল ইসলাম। বন্দরের সিøপওয়ে, ফেব্রিকেশন সেড ও হারবারে থাকা প্রতিটি নৌযানের অবস্থান টেকসই ও মজবুত করা হয়েছে। শিপইয়ার্ডের নিজস্ব বিদ্যুৎ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ জরুরি ও আপতকালীন সব ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক চালু থাকছে বলেও জানান তিনি। শিপইয়ার্ডে অবস্থানরত সব নৌযানের ক্রুদের নিরাপদ অবস্থানও নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন