শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বেধরক মারপিটে পঙ্গু হয়ে গেছে এক গাম পুলিশ! পঙ্গু গাম পুলিশ সাদা মিয়া এখন পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নাচন মুহুরী গ্রামে। পঙ্গু সাদা মিয়া এখন অর্থের অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছেনা। ২ ছেলে ৫ মেয়েসহ ৭ সদস্যের সংসার চৌকিদার সাদা মিয়ার। জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে বিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়, গুরুচরণ দুধনই বাজারের ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে।
এ সময় ১০ কেজি করে চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও চেয়ারম্যান জহুরুল হক ৬/৭ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। ব্যাপারটি সাংবাদিকদের দৃষ্টিতে এলে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ ঘটনাস্থলে আসছে-এ সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান দ্রæত তার অনুগত লোকজন দিয়ে অতিরিক্ত চাল সরিয়ে ফেলেন। নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ ঘটনাস্থলে এসে সিøপের চেয়ে অধিক চাল পান গুদাম ঘরে। পরে তিনি দাঁড়িয়ে থেকে অতিরিক্ত চালগুলো উপস্থিত দরিদ্র লোজনের বিতরণ করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা চলে আসার পর চেয়ারম্যানের কথায় চাল না সরানোর অপরাধে চৌকিদার সাদা মিয়াকে বেধরক মারপিট করে। এ সময় তিনি ঘারে মারাত্মক আঘাত পান। এতে তিনি পঙ্গু হয়ে যান। অতি দরিদ্র মানুষ তার পরও তিনি লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করেও সুস্থ হননি। বর্তমানে তিনি পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। টাকার অভাবে আর চিকিৎসাও করতে পারছেন না। পরিবারের সদস্যরাও তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
এ ব্যাপারে চৌকিদার সাদা মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিচার প্রার্থনা করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার করা হবে। ইউপি চেয়ারম্যন জহুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-আমি চৌকিদার সাদা মিয়াকে মারপিট করিনি। এসব ক’জন ইউপি সদস্য এবং চৌকিদার সাদা মিয়ার ষড়যন্ত্র। সাদা মিয়া ৫/৭টি সিøপের চাল উত্তোলন করলে আমি তাকে ধমক দিয়েছি মাত্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন