দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা
নিজ মার্কেটে যাতায়াতের সুব্যবস্থা করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেছেন প্রভাবশালীরা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলেও তারা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নাহারুল ইসলাম মিনু সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এ মার্কেটে যাতায়াতের জন্য একটি সরু রাস্তা রয়েছে। এ কারণে নবনির্মিত ওই মার্কেটে কেউ দোকান ভাড়া নিতে রাজি হচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েন মার্কেট মালিক নাহারুল ইসলাম মিনু। গত ৮ সেপ্টেম্বর ঈদের জন্য বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। এরপর ১০ সেপ্টম্বর রাতের আঁধারে মার্কেটের সামনের অংশে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের প্রায় ২০ ফুট অংশ ভেঙে ফেলেন নাহারুল ইসলাম মিনু। সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলায় এখন ওই মার্কেটে যাতায়াতের জন্য প্রশস্ত রাস্তা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাহারুল ইসলাম মিনু বলেন, ‘ভাই আমিতো প্রাচীর ভাঙিনি, প্রাচীর ভেঙেছেন স্থানীয় এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছেলে কলিন্স চৌধুরী।’ মিনুর দাবি, একই এলাকায় কলিন্স চৌধুরীর একটি মার্কেট থাকায় সেখানে যাতায়াতের সুবব্যস্থা করতে তিনি (কলিন্স চৌধুরী) বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙেছেন। তবে কলিন্স চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাহিদা আক্তার বলেন, ৮ তারিখে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে। তাই দেয়াল ভাঙার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জয়নুল আবেদিন বলেন, এব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সময় এর মোট জমির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা থাকলে পরে বেদখল হতে হতে তা ৩ বিঘার নিচে নেমে আসে। পরে বিদ্যালয়ের জমি রক্ষার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে স্থানীয় শিল্পপতি নাসির উদ্দিন বিশ^াস নিজ খরচে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। সেই সীমানা প্রাচীর ভেঙে মার্কেটে যাওয়ার রাস্তা বানানোর ফলে এখন নতুন করে বিদ্যালয়ের জমি বেদখলের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন