সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অবহেলিত সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সুইসগেট

বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

শেখ সালাউদ্দিন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

ঘূর্ণিঝড়সহ অনেক দুর্যোগ পার হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় এখনও নির্মাণ হয়নি সীতাকুণ্ডর মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী এলাকায় অবস্থিত সøুইসগেট ও জীবন রক্ষা বাঁধটি। ফলে চলতি বর্ষার মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে এখন ঘুম নেই সাগরের চরাঞ্চলের বেড়িবাঁধ এলাকার উপকূলবাসী ও এ ইউনিয়নের অন্তত সাড়ে চার হাজার কৃষক পরিবারের। পূর্বে পাহাড় এবং পশ্চিমে সাগরের জীবনরক্ষা বেড়িবাঁধ। এরই মাঝে সেই আদীকাল থেকেই এ অঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল ফলায়। কিন্তু ২০১৭ সালে সৃষ্ট বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ ও সøুইসগেট ধসে পড়ে যায়। ফলে পাহাড়ি ঢলের ও সাগরের জোয়ারের পানি চলাচলের রাস্তাটি একেবারে বন্ধ হয়ে পড়ে। সাগরের সাথে সংযুক্ত খাল ও ছড়াগুলো মাটিতে ভরাট হয়ে এবং পানি নিস্কাশনের সুব্যাবস্থা না থাকায় বর্ষার মৌসুমে কৃষকদের সবজি ক্ষেতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে পানিয়ে তলিয়ে যায় কৃষকদের অতি পরিশ্রমের স্বপ্নের ফসল এবং পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্যও। এছাড়া সাগরের জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানি এক হয়ে গ্রামে প্রবেশ করে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। অন্যদিকে গতবছর ২০২০ সালে পাহাড়ি ঢলে কৃষকদের সদ্য রোপন করা সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান একই এলাকার প্রবীন কৃষক আয়ুব আলী ও মোঃ আবু তাহের। তারা বলেন ২০১৭ সালে বেড়িবাঁধ ও সøুইসগেট ধসে গেটি অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে এখানকার কৃষকদের সব রকম সবজি ক্ষেত পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্রমশই তলিয়ে যায়। চলতি ২০২১ সালেও অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমরা ধান চাষসহ বিভিন্ন প্রজাতীর সবজির চাষ করেছি।
সরেজমিন দেখা গেছে, সাগরের বেড়িবাঁধ ও সমুদ্রের সাথে সংযুক্ত খাল, গুলিয়াখালী সøুইচ গেট চরম অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে ধসে পরে আছে। চলতি বর্ষার মৌসুমে সাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে অসংখ্য কৃষক পরিবারের লোকজন এখন জমিতে চাষ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে।
মুরাদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামী(বাবু)বলেন, ২০১৭ সালে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গুলিয়াখালী সøুইচ গেট ধসে পড়ে গিয়েছিল। তখন ৫ কোটি টাকার বেশি পুকুরের মাছ ও সবজি পানির শ্রোতে ভেসে যায়। চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে সø্ইুচ গেট নির্মাণের বিষয়ে জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, এবিষয়ে আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছি। তাঁরা ব্যবস্থা নেবে বলে আমাকে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনিস হায়দার খাঁন বলেন, আমাদের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। গুলিয়াখালী সøুইচ গেট স্থায়ী নির্মানের কাজের এ বছর কোনো বরাদ্দ এখনো আসেনি। গত তিন বছর ধরে বরাদ্দের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বরাদ্দ আসা মাত্রই স্লুইচ নির্মানের কাজ শুরু করা হবে। তবে অস্থায়ীভাবে জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন