মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় শতাধিক ইটভাটা। যার নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। এ সমস্ত ভাটার মালিকগণ প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো কাগজপত্রের তোয়াক্কা না করে একের পর এক গড়ে তোলে এ সমস্ত ভাটা। সম্প্রতি উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের রিফায়েতপুরের সার্ক ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে ঐ এলাকাসহ ফতেপুর, নিলাম্বর পট্টি, ভেড়িরচর এলাকার কয়েক একর জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ফতেপুর, রিফায়েতপুর, চালিতাপাড়া গ্রামের কৃষকদের আজাহারির মাথায় হাত। স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল হক বলেন, ইটভাটার কারণে আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। এজন্য এলাকাবাসী অনেক প্রতিবাদ করেছে। তাতে কোনো ফল পাইনি। অপরদিকে, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি এলাকায় ৪টি ইটভাটা হওয়ায় হাতনি, কাঞ্চননগর, কৌচা, পানিশাইল ও চাপরাইলের ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় কৃষকদের ধান পুড়ে যাওয়ায় গত সোমবার স্থানীয় কৃষকরা জামির্ত্তা-হাতনি সড়কে এক মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনে কৃষকদের দাবি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনতিবিলম্বে ওই এলাকার ইটভাটা বন্ধ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রশিদ মাস্টার, ইঞ্জি. আবু সায়েম, আলহাজ আবুল কালাম প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা জানান, কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠিয়েছি। এছাড়া জামির্ত্তা ও চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যানদের ডেকেছি। তাদের নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে ভাটার মালিকদেরকে দিয়ে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন