প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদীহিতা এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নে দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টিজের (এফবিসিসিআই) এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন। গতকাল প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিক এ মন্তব্য করেন। মো. জসিম উদ্দীন দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্খা পূরণে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার অবাস্তব নয় মন্তব্য করে বলেন, দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায়। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদীহিতা এবং তদারকের মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি আরো বলেন, করোনাজনিত কারনে কর্মহীনতা ও আয়- হ্রাস কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচি, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচি প্রভৃতির আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে। এ সকল অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) আরো ভূমিকা রাখবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নজর দেয়া হয়েছে। মানবসম্পদকে সার্বিকভাবে উন্নয়ন করা হলে স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে রাজস্ব আদয়ের লক্ষ্যমাত্রা তেমন বৃদ্ধি করা হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ইন্টিগ্রেটেড ও অটোমেশন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন