করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সীমান্ত সিল করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পরেও গতকাল শনিবার অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের দায়ে ২ শিশু ৪ নারীসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তিন দিনে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৩ শিশু ৯ নারীসহ আটক ১৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে পাচার কাজে আটক ভাদিয়ালী সীমান্তের শাহিনুরসহ ৩ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে হিজলদী বিজিবি স্থানীয় বাজার থেকে ২ শিশু ২ নারীসহ ৫ জনকে আটক করে। অপর দিকে একই সময় কুশখালী বিজিবি বোয়ালিয়া এলাকা থেকে পাচারকারী ভাদিয়ালীর শাহিনুর আটক এবং ২ যুবতীকে উদ্ধার করে সোনাবাড়িয়া প্রাইমারী স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ করেছে। গত ৩ জুন ভারত থেকে আগত সোনাবাড়িয়া গ্রামের গফুরের কন্যা হালিমা (৩২) ও নাসিমা (২৮) কে তাদের শিশু কন্যাসহ আটক করে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুল ভবনে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে মাদ্রা বিজিবি ৬ জন, হিজলদী বিজিবি ৬ জন ও কুশখালী বিজিবি ২ জনকে আটক করে সোনাবাড়িয়া প্রাইমারী স্কুল ভবনে কোয়ারেন্টাইনে হস্তান্তর করেছে বলে, প্রহরারত সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের কর্তব্যরত দফাদার ইবাদুল ইসলাম জানান। সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সংগে মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। কলারোয়ার মাদ্রা বিজিবি কোম্পানি কমাণ্ডার মাদ্রা সীমান্ত থেকে ৬ জন এবং হিজলদী সীমান্ত থেকে ৬ জনকে আটক করে সোনাবাড়িয়া প্রাইমারী স্কুলে কোয়ারেণ্টাইনে রাখা সত্যতা স্বীকার করেন এবং কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান। এদিকে কুশখালী বিজিবি সীমান্ত থেকে শাহিনুর নামে এক পাচারকারীকে আটক করে উদ্ধারকৃত ২ যুবতীকে কোয়ারেণ্টাইনে প্রেরণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট বিজিবি সুত্রে জানা গেছে। সীমান্তে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, বিনা পাসপোর্টে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত কাজে নিয়োজিত ঘাট মালিকরা মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে গভীর রাতে মানুষ পাচারের কাজে লিপ্ত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন