মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
মঠবাড়িয়ায় চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সউদি প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী তিনদিন অজ্ঞান থাকার পর জ্ঞান ফিরে এলে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে তিন ধর্ষককে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের দেলোয়ারের পুত্র বখাটে নাঈম (২০), আব্বাসের পুত্র রাসেল (২৪), ইসমাইল খানের পুত্র নিজাম (২৮) ওই গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ধর্ষিতার বাবা দুই মাস আগে সাগরে মাছ ধরতে গেলে বখাটেরা সুযোগের অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে থাকে। ঘটনার দিন গত শনিবার ধর্ষিতার বৃদ্ধা নানী প্রতিদিনের ন্যায় এলাকায় ভিক্ষা করতে গেলে কৌশলে ওই লম্পটরা খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রাখে। পরে ওই খাবার খেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী অচেতন হয়ে পরে। এ সময় শিশু সন্তান দু’টি পাশের বাড়ি টিভি দেখতে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা ওই তিন বখাটেসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিনজন গৃহবধূকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন রোববার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার তার জ্ঞান ফেরে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই গৃহবধূর ডাক্তারী পরীক্ষা মঙ্গলবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন