পানিবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয় করতোয়া নদীর পুনঃখনন কাজ। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় বছর মেয়াদী এই পুনঃখনন প্রকল্পটি শেষ হবে চলতি মাসের ৩০ তারিখ। ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজ করবে। এদিকে প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি মাসে শেষ হলেও এখনো অর্ধেক কাজই শেষ হয়নি বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীটির ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খনন কাজ সঠিক সময়ে শেষ না হবারই আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনেকেই মনে করেন, কাজের এই ধীরগতির কারণে সরকারের মহৎ উদ্যোগ পানিতে যাবে। এছাড়া খনন কাজেও দায়সারা হওয়ায় সুফল না পাবার আশংকা করছেন।
সরেজমিনে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে করতোয়া সেতুর আশপাশে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে খননকাজ চালানো হচ্ছে করতোয়ায়। ওই অংশে আরও কয়েকটি খননযন্ত্র এনে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগানো হয়নি। যত্রতত্র পাথর-বালু ফেলছে নদীর ধারে। বৃষ্টি এলেই সেই বালু যাবে নদীতে। ছোট ড্রেজার মেশিন দিয়ে খনন কাজ করলেও কোথায় ১৫-২০ ফিট গভীর করা হচ্ছে পাথর উত্তোলনের জন্য। পাথর-বালু স্তুপ করে নিলামে বিক্রির কথা থাকলেও পাথর-বালু হচ্ছে উধাও।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, নদী খননের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি পুনঃখনন কাজ নিদিষ্ট সময়ে শেষ হবে। ঢাকা থেকে টার্স্কফোর্স টিম এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কাজের বিল পে করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন