শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাঁধের টাকা যেন কারো পকেটে না যায়

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙন থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলা রক্ষায় ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী অনেক খুশি। প্রকল্প পাশের খবরে দু-উপজেলার গ্রামে গ্রামে মানুষ আনন্দ মিছিল বের করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি তারা বলেছেন, অতীতের মতো নদী বাঁধের টাকা কারো পকেটে যেন না যায়। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশ্নিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়া বাজার এবং কাদিরপণ্ডিতের হাট এলাকাকে ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি অনুমোদনের পেছনে ব্যাপক অবদান রেখেছেন স্থানীয় এমপি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুজ্জাহের সাজু। তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে রামগতি-কমলনগরবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হলো।
মেঘনা তীরের বাসিন্দারা জানান, অতিতে ভাঙন রোধের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার তারা কোনো ব্যক্তি বিশেষের নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি দেখতে চায় না। সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নদী বাঁধের কাজ সমাপ্ত করতে জোর দাবি জানান তারা। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নুরুল আমিন মাস্টার ও রামগতি উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে রামগতি-কমলনগরের অসংখ্য মানুষ দিন দিন সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। মেঘনার এ ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন।
কেন্দ্রীয় আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আবদুজ্জাহের সাজু জানান, নদী ভাঙন রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ উপকূলীয় এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল। বিষয়টি মাথায় রেখে আমার জন্মস্থান রক্ষায় প্রকল্পটি অনুমোদনে আমি বিভিন্ন কার্যালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী অবশেষে রামগতি-কমলনগরবাসীর আশা পূরণ করেছে। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের এমপি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান জানান, দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনামন্ত্রী ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ প্রকল্প সংশ্নিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন