নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার আতঙ্কের এক নাম কিশোর গ্যাং ইভন বাহিনী। ইসদাইর এলাকার আজম বাবু ওরফে জামাই বাবুর ছেলে ইভন। ইভনের রয়েছে বিভিন্ন মহল্লায় অর্ধশতাধিক কিশোর গ্যাং। এসব কিশোর গ্যাং বিভিন্ন নামে বেনামে পাড়া মহল্লায় শাসন করে। এমন কোনো অপরাধ নেই যা ইভন ও তার বাহিনী করে নাই।
জানা যায়, মাদক, ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবসা, খুনসহ নিরহ মানুষদের ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা আদায় যেনো তাদের বাহিনীর নিত্যদিনের রূপ নিয়েছে। তুচ্ছ কারণে লোকজনকে মারধর করা তাদের নিত্যদিনের কাজ। এছাড়া কোনো ক্ষেত্রে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা। ইভন ও তার বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলে না কেউ। হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি ইভন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর ইয়াবাসহ কিশোর গ্যাং লিডার ইভন ও তার দুই সহযোগিকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে সে মামলা থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবার শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। এর আগে ২০১৩ সালে পূর্ব ইসদাইর জনতা টেক্সটাইল মিলের সামনে প্রকাশ্যে জনগণের সামনে কিশোর ফুটবলার রাসেলকে হত্যা করে ইভন ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
অপর এক সূত্রে জানা যায়, এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফতুল্লার ইসদাইর লেপ তোষক বিক্রেতা কামালের দোকানে হামলা চালিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুটে নেয় ইভন ও তার সহযোগিরা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কামাল ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করলে উল্টো তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ইভন বাহিনী। এছাড়াও স্থানীয় স্কুলছাত্র ফারদিনকে অমানুষিক নির্যাতন ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। এদিকে, ভয়ঙ্কর ইভন ও তার বাহিনীর অত্যাচারে ইসদাইরবাসী প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জান জানান, কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারাই এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপ করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধী যেই হোক তারা ছাড় পাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন