মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অধিক টাকার লোভে নির্মাণ হচ্ছে কাঁচাপাকা স্থাপনা

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক

মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, শরীয়তপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের জমি অধিগ্রহণের সংবাদে সড়কের উভয় পাশে গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক স্থাপনা। অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রাতারাতি সেখানে ঘর তোলা হচ্ছে মুরগির খামার, গাছ বাগান, দোকানপাট ও ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন প্রকার কাঁচাপাকা স্থাপনা। এর নেতৃত্বে কাজ করছে একটি সক্রিয় দালাল চক্র। যারা এলাকার লোকজনকে এসব স্থাপনা নির্মাণেনো প্রকার ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না।
শরীয়তপুর জেলা সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থার পর গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কটিকে চারলেনে উন্নিতকরণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয় এমপি ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ঐ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ভেদরগঞ্জ উপজেলার নরসিংহপুর ফেরীঘাট থেকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার মনোহর বাজার পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটারের চার লেনের সড়কটি নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে ৮৫৯ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী বর্তমানে ঐ সড়কের নরসিংহপুর ফেরীঘাট থেকে বালারহাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কয়েক মাস আগে ঐ সড়কের বাকি অংশে জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারি নিয়মানুযায়ী অধিগ্রহণকৃত এসব জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনগুন টাকা মালিককে পরিশোধ করা করা হবে।
গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, জমি অধিগ্রহণের খবর পেয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের বালারহাট টু কাশিমপুর অংশে দুইপাশে গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক স্থাপনা। সড়কের ধার ঘেঁষে কেউ পাকা ভবন, কেউ কেউ আধাপাকা ভবনসহ ছোট ছোট গাছ দিয়ে বাগান তৈরি করছে। সব মিলিয়ে গত কয়েকদিনে সেখানে অর্ধশতাধিক নতুন স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এসব কাঁচাপাকা স্থাপনা নির্মাণে উৎসাহিত করছে একটি সক্রিয় দালাল চক্র। এ চক্রের মূলে রয়েছে ডিএমখালী ইউনিয়নের গাজী কান্দির বাসিন্দা জানশরীফ হাওলাদারের ছেলে আহমদ আলী। যিনি ঐ এলাকায় জমিজমার দালাল হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজেও মহাসড়কের পাশে একাধিক স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। মহাড়কের পাশে রাতারাতি স্থাপনা নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে ও আহমদ আলী ও তার চক্রের অন্যন্য সদস্য মাঈনুদ্দিন ও পারভেজ সংবাদকর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শাবল ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সংবাদকর্মীরা সেখান থেকে নিরাপদে ফিরে আসে। কিন্তু তাদের শাবলের আঘাতে সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে, স্থাপনা নির্মাণকারী সাঈদুর রহমান রতন জানান, মহাসড়কের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আমরা এ পর্যন্ত কোনো প্রকার নোটিশ কিংবা নির্দেশনা পাইনি। তাই নিজেদের জমির ওপর ভবন নির্মাণ করছি। সরকারি নির্দেশনা পেলে আমি আমার টাকা নষ্ট করতে যেতাম না।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেদোয়ানুর রহমান জানান, মহাসড়কটির দু-পাশের সকল অংশ আমরা ভিডিও করে রেখেছি। নতুন কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হলে আমরা সেটা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। এমনকি এর সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
শোয়েব ১৩ জুন, ২০২১, ১১:২২ এএম says : 0
এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
Total Reply(0)
নওরিন ১৩ জুন, ২০২১, ১১:২৩ এএম says : 0
এরকম কিছু লোক সব সময় দেশের উন্নয়নের পথে বাঁদা সৃষ্টি করে থাকে
Total Reply(0)
Marjan Rahman ১৩ জুন, ২০২১, ১১:২৩ এএম says : 0
খুব বুদ্ধিমান মানুষ ওই এলাকায়
Total Reply(0)
মাজহারুল ইসলাম ১৩ জুন, ২০২১, ১১:২৫ এএম says : 0
এদের শুধু জমির মুল্যই দিবেন, বাড়তি কোন টাকা দেয়া উচিত হবে না। বাড়তি টাকা চাইলে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন
Total Reply(0)
Farhad ১৩ জুন, ২০২১, ১১:২৫ এএম says : 0
গরীব মানেই সৎ/নির্দোষ, এমন কিছু ভাবার কারণ নেই।
Total Reply(0)
জুয়েল ১৩ জুন, ২০২১, ১১:২৬ এএম says : 0
গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোকে যারা এই কুবুদ্ধি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি
Total Reply(0)
বান্নাহ ১৩ জুন, ২০২১, ১১:৩০ এএম says : 0
অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে যারা এসব করছে, তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক
Total Reply(0)
Elias dhali ১৪ জুন, ২০২১, ১২:৪২ পিএম says : 0
সুষ্ঠু তদন্তের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন