মুন্সীগঞ্জ জেলা শহর থেকে লৌহজং উপজেলার যাতায়াতের একমাত্র প্রধান আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা হয়েছে। লৌহজংয়ে ১৫ কিলোমিটার এ সড়ক পথ অধিকাংশ স্থানই পরিণত হয়েছে বড় বড় গর্তে। শুকনো কিংবা বৃষ্টি সব সময় দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ পথের যাত্রীদের। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা যায়, উপজেলার মাওয়া-ঘোড়দৌড়-মালিরঅংক-বালিগাঁও হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর পর্যন্ত চলাচলের প্রধান আঞ্চলিক সড়ক এটি। লৌহজং উপজেলাসহ টঙ্গীবাড়ি, শ্রীনগর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার লাখও মানুষ চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। এছাড়াও ঢাকা না গিয়ে মাওয়া থেকে মুক্তারপুর ব্রিজ হয়ে নারায়ণগঞ্জ এবং পূর্ব ও দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াতে শর্টকাট রাস্তা হিসেবে কয়েক লাখ মানুষ আসা যাওয়া করে এ সড়ক পথ দিয়ে। আর এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ১৫ কিলোমিটার জুড়েই খানাখন্দ। গত বছরের শুরুতে এ সড়কের মেরামতের কাজ করলেও তার কয়েক মাস পর আবারও ভেঙে যায় সড়কটি। নিম্নমানের কাজের ফলে সড়কটি দ্রুত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা হলে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবেন এ সড়কের মানুষ। এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে সংস্কার কাজ বন্ধ থাকলেও আগামী বছরের শুরুতে এ সড়কের সংস্কার কাজ করার আশ্বাস দেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে, অঞ্চলের এ প্রধান সড়কটির জনদুভোর্গ কমাতে শুধু আশ্বাস নন দ্রুত বাস্তবায়ন চায় স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী অটোচালকরা জানান, এ সড়ক দিয়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে বালিগাঁও পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। মাঝে মাঝে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায়ও যাওয়া হয়। সামান্য বৃষ্টি হলে এ সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। বৃষ্টিতে পানি জমলে কোথায় ভাঙা রয়েছে সেটা বুঝা মুশকিল। যার ফলে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। রাসেল আঁকন জানান, একটু পর পর বড় বড় ভাঙা। আমি গত কয়েকদিন এ সড়কে আগে এক্সিডেন্টে ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছি। মালির অঙ্ক বাজারের দোকানদার জানান, আমাদের দোকানের সামনে বড় গর্তরয়েছে। এখানে প্রায় ১০০টির উপরে দুর্ঘটনা হয়েছে। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজি সব ধরনের গাড়িই এক্সিডেন্ট করেছে। আমরা প্রায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাই।
সড়কটির সংস্কারের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খান জানান, মাওয়া-ফতুল্লা সড়কটির প্রায় ৩০ কি.মি. সংস্কার কাজের অনুমোদন আসছে চলতি অর্থবছরে। তবে, করোনাকালে এ অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ছোট-বড় কাজ স্থগিত করা হয়েছে। তাই এ সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ সড়কের সংস্কারের কাজ ধরা হবে। তিনি আরো জানান, আমরা কাজের টেন্ডারও দিয়ে ফেলেছি। আগামী অর্থ বছরের শুরুতেই কাজ ধরা হবে। আশা করছি এ কাজের পরে ৩/৪ বছরের মধ্যে এই সড়কে কাজের জন্য কোনো হাত দিতে হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন