ছিলেন ভিখারি। সেখান থেকে শুরু মাদক ব্যবসা। এরপর গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী গ্উপ। তার নেতৃত্বে আছে একটি কিশোর গ্যাংও। এখন তার অগাধ টাকা। সংসারে দুই স্ত্রী। আছেন একাধিক বান্ধবী। তাকে নিয়মিত পাহারা দেয় বেতনভুক্ত কয়েকজন ক্যাডার। তিনি হলেন নগরীর ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং লিডার ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মো. শাহেদ ওরফে ভিখারি (২৫)।
গতকাল রোববার ভোরে আগ্রাবাদ পানওয়ালা পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ভিখারি অত্যন্ত ধূর্ত ও ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। থানার তালিকাভুক্কত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সে। কিশোরদের নিয়ে তার একটি গ্যাংও আছে। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক এনে আগ্রাবাদ এলাকায় বিক্রি করত। মাদক বিক্রির জন্য তার আলাদা ১২ থেকে ১৪ জনের দল আছে।
কেউ তার বিরুদ্ধে বা মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললে কিশোর গ্যাং লেলিয়ে দেয়। তার দলের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ ব্যাপারীপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী কমিটি করায় কমিটির সদস্যদের উপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ভিখারি বাহিনী। এতে দুইজন মারাত্মকভাবে আহত হন। এছাড়া তার একটি আলাদা টর্চার সেলও আছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সেখানে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। তার বাহিনী ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত।
ভিখারি দুইটি বিয়ে করে এবং তার একাধিক বান্ধবী আছে। এসব বান্ধবী বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। এরপর সুযোগ বুঝে ঘরে এনে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব বান্ধবীকে কনভিন্স করতে সে বুকে ব্লেড দিয়ে কেটে তাদের নাম লিখে। তার শৈশব খুব আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যায়। তাই তার বন্ধুরা তাকে ভিখারি নাম দেয়। কিন্তু এখন সেই বন্ধুরাই তাকে বস ডাকে। তার বাহিনীর কয়েক সদস্য তারই বন্ধু।
তার বেতনভুক্ত বেশ কয়েকজন কর্মচারী আছে যাদের দায়িত্ব পুলিশ আসলেই তাকে তথ্য দেওয়া। এ কারণেই তাকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ বার গ্রেফতারও হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি এলজি, এক রাউন্ড কার্তুজ ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন