বরিশাল মহানগরীতে দীর্ঘদিন ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক বাণিজ্য চালিয়ে আসা চরবাড়িয়ার এলাকার মাসুম খান বুলেটকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবি পুলিশ নগরীর বৈদ্যপাড়া এলাকা থেকে দুইজন নারীসহ বুলেটকে আটকের পরে তাদের কাছে থেকে ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। বুলেটের সহযোগী আটককৃত দুই নারী বন্দর এলাকার চরকাউয়া ইউনিয়নের দিনারের পোলের পারভিন বেগম ও যশোরের শার্শা থানার ১ নম্বর কলোনির বাগাআছড়া বকুলতলার গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোসা. রিজিয়া আক্তার তানিয়া।
তাদের কাছ থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল ছাড়াও মাদক বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন এবং ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আসামি বুলেট ও পারভীন বেগম অপর আসামি তানিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় একত্রিত হয়ে র্দীঘদিন ধরে মাদক বাণিজ্য করত। এ ব্যবসার সাথে জড়িত যশোরের শার্শার বাগাআছড়া এলাকার ফজর আলী গাইনের ছেলে মাদক সরবরাহকারী ইকবাল হোসেন পালিয়ে গেছে। তানিয়া যশোর থেকে ফেন্সিডিলের চালান নিয়ে বুলেটের কাছে আসে বলে জানা গেছে।
ডিবির এসআই সুজিত গোমস্তা সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃতদের কাছ থেকে ২০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তোতা মিয়ার ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা খান শাহিনের ভাই মাসুম খান বুলেট এর আগেও অ্যাডভোকেট লিখনের চেম্বার থেকে একাধিকবার ফেন্সিডিল উদ্ধারে ঘটনায় জড়িত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে পার পেয়ে যায়। বরিশাল সদর উপজেলার বাসিন্দা বুলেট নগরীর হজরত কালুশাহ (র.) সড়কে বাসা নিয়ে থাকেন আর সেখানে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে মাদকের সিন্ডিকেট।
গতবছর যশোরে ফেন্সিডিল আনতে গিয়ে সহযোগীরা আটক হলেও পালিয়ে আসে বুলেট। সে মামলায়ও পলাতক আসামি বুলেট বরিশালে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছিলো মাদক বাণিজ্য। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চরবাড়িয়া এলাকায়ও দীর্ঘ দিন ধরে তার মাদক বেচা কেনার সিন্ডিকেট রয়েছে। তার সাথে জড়িতরা এবার প্রশাসনের নজরে রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে ডিবির এসআই সুজিত গোমস্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন