যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে গড়ে তোলা হয়েছে সড়ক পথ। আর এই সড়ক পথকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও প্রতিষ্ঠান। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে, সব কিছুর সমন্বয়ে বর্তমান সময়ে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে শিবপুর রোড ভায়া দড়িগোয়ালী সড়ক ২টি।
জানা যায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ১নং সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নের সংলগ্ন চকমখোলা-বিটেশ্বর ইউপি অফিস ভায়া বড়গোয়ালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিটেশ্বর ইউপি অফিস (তিনপাড়া) প্রায় আট বছর ধরে সংস্কার হয়নি। প্রায় ৭ কি.মি. দুইটি সড়কের জন্য এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে। রাস্তার বেশিরভাগ স্থানে ঢালাই ওঠে গেছে ও ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। চলাচল করে অসংখ্য রিকশা, ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। স্থানে স্থানে গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে হেঁটে চলাচলই এখন দুষ্কর। রাস্তা দুইটি সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় নিয়মিত চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন এলাকাবাসী। এই বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তার করুণ অবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল করে। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়ন হয়ে উপজেলা সদরের সংযোগ এই রাস্তা দুইটির।
রাস্তা দুটির সংস্কারের দাবি জানিয়ে দড়িগোয়ালী গ্রামের শাহিনুর বেগম জানান, শিগগিরই সড়ক দুইটি মেরামত না করা হলে পায়ে হেঁটে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাবে না। চকমখোলা গ্রামের আবিদ মিয়া জানান, আট বছর ধরে এই দুইটি সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তির মধ্যে আছি। বড়গোয়ালী গ্রামের কামাল সরকার জানান, এই সড়ক দ্ইুটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে গর্ভবতী ও অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে সময়মতো নেয়া যায় না। যার কারণে আতঙ্কে থাকতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, সংস্কার না করায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দুঘর্টনা ঘটছে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। এলাকার জনসাধারণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেও অবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ রাস্তা দ্ইুটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাস্তাগুলো সংস্কারে স্থানীয় এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়ক সংস্কারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি সহসাই কাজ শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন