কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের কৈলাগ গ্রামের ফেনু মিয়া (৪৫) গত রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন। আহত ফেনুমিয়ার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কৈলাগ গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পৌর সভার পৈলনপুর গ্রামের দিকে দৌড়ে আসে। এই সংবাদ পেয়ে বাজিতপুর বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা বাড়ি চলে যায় ও বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে বাজিতপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদ পেয়ে বাজিতপুর পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের শান্ত করেন। এ মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবার ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩/৫/২১ তারিখ দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেনু মিয়া সঙ্গে পৈলন গ্রামের পাবেল মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। ফেনু মিয়ার অভিযোগ তার গায়ের ওপর বাইক উঠিয়ে দিয়েছে পাবেল। এর কিছুক্ষণ পরে আবার বাজিতপুর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। ঘটনায় ফেনু মিয়া মারাত্মক জখম হয়। তাকে প্রথমে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আবার খারাপ হলে গত ১২ জুন কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গত রোববার গভীর রাতে মারা যান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে’র ঘটনা ঘটলেও ১৩/৬/২১ তারিখে থানায় মামলাটি গ্রহণ করে। ঘটনাটি সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি রোগীর অবস্থা অবনতি হয় এবং গত রোববার রাতে তিনি মারা যাওয়ার পর। গতকাল এটি হত্যা মামলা হিসেবে নথি ভুক্ত হয়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. শাহীন সরদার জানান, পৌর কাউন্সিলরসহ ১৪ জনকে আসামি করে নিহতের ভাই মো. রাসেল মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুর্বের এজাহার ঠিক রেখে শুধু ৩০২ ধারা সংযোজন করা হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন