চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে আউশ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সময়মতো বৃষ্টি ও করোনার প্রভাবে আউশের চারা রোপণে কৃষকরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও এ বছর ৩ হাজার ৭০ হেক্টর আউশ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে বেড়িবাঁধ, রাবারড্রাম ও ইছামতি খালের বাঁধ নির্মাণের কারণে এ বছর আউশ চাষ বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। ৭শ’ ৫০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ প্রদান করেছে বলেও জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ১২ হাজারেরও অধিক কৃষক ৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আউশের চারা রোপণ শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস অধিক ফলন ফলাতে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে নতুন জাতের হাইব্রিড ১২০৩, ১২০৫, টিয়া, হিরা, শক্তি, বিনা ১০, বিনা ১৫, বিনা ১৯, বিনা ৬৫, বিনা ৮২সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের বীজ এনে কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করেন। এ বছর উপজেলার উপকূলে বাঁধ নির্মাণ, বরুমচড়া ভরা সঙ্খের খালে হাইড্রলিক বাঁধ নির্মাণ ও ইছামতি খালে বাঁধ নির্মাণের কারণে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষকরা। এ বাঁধ নির্মাণের কারণে পতিত জমিও আউশ চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে।
বারখাইন শিলাইগড়া এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন জানায়, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হলেও এখন বৃষ্টি হওয়ায় সব শঙ্কা কেটে গেছে। তিনি আরো জানায়, করোনায় শ্রমিক সঙ্কট হলেও ছেলেদের নিয়ে ৪০ শতক জমিতে আউশ রোপণ সম্পন্ন করেছে। বাকি জমিও আউশ রোপণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে আউশের বাম্পার ফলনের আশা করেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে আনোয়ারার ১১টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৭০ হেক্টর আউশের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এজন্য ৭শ’ ৫০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যে সার ও উন্নত জাতের বীজ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বৃষ্টির জন্য আউশ রোপণে কিছুটা বিলম্ব হলেও এখন কোনো সমস্যা নেই। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আগের চেয়ে এ বছর বেশি ধান উৎপাদন সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন