অসহায় নারীর কাছ থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ায় কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী। গতকাল সোমবার মুরাদনগর থানা পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করতে গেলে স্থানীয় লোকজনও ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করেন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী নাছিমা বেগম তিতাস উপজেলার কলাচাঁনকান্দি গ্রামের আবদুল বারেক মিয়ার মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামে। আর পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করে দেয়ার নামে যাকে ১ লাখ ৫৫ হাজার দিয়েছেন তিনি হলেন মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বাবু।
ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব থেকেই স্বামী শহীদ মিয়ার সাথে আমার বিরোধ চলছিল। আমাদের কাউকে না জানিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা থেকে স্বামী শহীদ মিয়া জোরপুর্বক ৪২শতাংশ জমি দানপত্র দলিল করে নেয়। পরে আমরা জানতে পেরে ওই জমি উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এক পর্যায়ে জাহাপুর গ্রামের স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত বাবুর শরাণপন্ন হলে বাবু আমার জমি উদ্ধার করে দিবে বলে দুই দফায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নেন। কিন্তু পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও সে জমি উদ্ধার থাক দূরের কথা আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো আমাকে বিভিন্ন গালমন্দ ও টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করে। পরে আমি নিরুপায় হয়ে যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত বাবু, শহীদ মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত বাবু বলেন, আমি নাছিমা বেগমের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি, তবে আমার এক বন্ধু ওই মহিলার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে আমি শুনেছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, প্রতারণা করে নাছিমা বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই নারীর টাকা উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন