আকাশের তারা নির্ণয়ের ঘড়ি আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিলেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি ওসমান খান। অভিনব এ ঘড়িটি তৈরি করতে তার সময় লেগেছে প্রায় ১১ বছর। জানা যায়, নিজ বাড়িতে একটি কক্ষে গবেষণাগার বানিয়ে রাত-দিন চেষ্টার পর এই ঘড়ি উদ্ভাবন করেন তিনি। এ ঘড়ির মাধ্যমে ঘরে বসেই তারা কোন সময় উঠবে, দিনের বেলায় তারাগুলো কোথায় অবস্থান করছে ও দিনে চাঁদের অবস্থান জানা যাবে। ওসমান উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মো. আওলাদ খানের ছেলে। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি তিনি। অভাবের তাড়নায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত তার লেখাপড়ায় সমাপ্তি ঘটে।
ওসমান খান জানান, আমি প্রায় ১১ বছর গবেষণা করে এ ঘড়ি উদ্ভাবন করেছি। আমাদের পৃথিবীতে দিন-রাত মিলিয়ে যে তারাগুলো আকাশে উঠে, সে তারা আগেই নির্ণয় করা যাবে এ ঘড়ির মাধ্যমে। বর্তমান ও ভবিষ্যতে যে তারাগুলো আকাশে উঠবে, সেটি এই ঘড়ির মাধ্যমে নির্ণয় করা যাবে। এছাড়া আগামী বছর এই দিনে এই সময়ে অন্যান্য গ্রহ কোন অবস্থায় থাকতে পারে, সেই সিগন্যালও দিয়ে দেবে এই ঘড়ি। ঘড়িটি তৈরি করতে তার ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২৪টি কাটাসহ বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন সময় সব কিছুই নির্ধারণ করা হয়েছে। অ্যানালগ হিসেবে ঘড়িটা ব্যবহার করতে হয়। এটিকে ডিজিটাল রূপে নিতে হলে অনেক অর্থ ব্যয় হবে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোয়ান মাহমুদ ও রাজীব জানান, দীর্ঘদিন গবেষণা করে এই ঘড়িটি আবিষ্কার করেছেন তিনি। আমরা প্রাথমিকভাবে আকাশের তারার সঙ্গে মিল করে দেখেছি। তাতে বুঝতে পারি আকাশে যে সময় তারা ওঠে, ঠিক তখন ওই ঘড়ির তারাগুলো একই দেখা যায়। মুকসুদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জোবায়ের রহমান রাশেদ জানান, এ বিষয়ে আমাকে কয়েকজন জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। আমি ঘড়িটি দেখে ও জেনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন