লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
উপজেলা সদরের স্কুল রোডে ৭৫ বছর বয়স হলেও বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। এদিকে তার রয়েছে মোহাম্মদ রফিক (২৯) ও তৌহিদুল ইসলাম (২৪) নামের দুই কর্মঠ সন্তান। দুইজনেরই নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বটতলী মোটর স্টেশনে। বড় সন্তান মোহাম্মদ রফিক বিয়ে করে বাড়ীতে থাকে। অন্যজন বিয়ে করেনি, তাই দোকানে থেকে যান। চলাফেরায় অক্ষম বৃদ্ধ পিতার প্রতি তাদের কোন খেয়াল নেই। বিগত ৫ মাস ধরে দুই ছেলের মধ্যে কেউ অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে ঔষধ কিনে দেওয়াতো দূরের কথা এক বেলা ভাতও দেননি। উল্টো বড় ছেলে ও তার বউ প্রায়ই বৃদ্ধকে শাসিয়ে থাকেন। ৫ মাস ধরে পাশর্^বর্তী বাড়ীর নাজিম উদ্দীন নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক তার খাবার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন এবং তার স্ত্রী ও অন্যান্য প্রতিবেশীরা যে যেভাবে পারে অসহায় বৃদ্ধ লোকটিকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল মজিদ পেশায় কৃষক ছিলেন। গত ১ বছর আগে স্ত্রী মারা যান। ৬ মাস আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই থেকেই তার ছেলেরা তার আর কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না। তার তৈরী করা বাড়ীতে থাকলেও তাকে থাকতে দিচ্ছে একটি পরিত্যক্ত বারান্দায়। এ নিয়ে প্রতিবেশীদের মাঝে তার ছেলেদের উপর চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন