গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে হয়রানী ও সড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকাস্থ ব্যাবসায়ী হুমায়ূন কবীরের স্ত্রী মিসেস ফারহানা কবীর। গতকাল সোমবার সকালে মিসেস ফারহানা কবীর গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ফারহানা কবীর বলেন, গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুড়ী গ্রামের রুহুল আমিন খান রিপন ও প্রতিপক্ষ ঢাকপাড় গ্রামের রুহুল শেখ গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর সকালে স্থানীয় হাজরাতলা মোড়ে উভয় গ্রুফের মধ্যে এক সংঘর্ষ হয়। এতে রুহুর আমিন খানের ভাই সুমন খান (২৭) লাঠির আঘাত ও রামদা’র কোপে গুরুতর আহত হয়। মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে তাকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে ওই দিন বিকালে তাকে ঢাকায় রিফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথিমধ্যেই সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে সুমন খানের মৃত্যু হয়।
ফারহানা কবীর বলেন, এ ঘটনায় পরদিন ৩১ অক্টোবর নিহত সুমন খানের আপন চাচাতো ভাই ভাই রুহুল আমীন খান রিপন ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানায় আমার স্বামী ব্যবসায়ী হুমায়ূন কবীর খানকে প্রধান আসামি করে ১৫ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের নামে একটি সাধারণ ডায়রি করে। যা পরবর্তীতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হিসেবে দাখিল করা হয়। এর মধ্যে তারা আমাদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুরসহ আমাদের জীবন নাসের হুমকি প্রদান করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার ইন্সপেক্টর খোন্দকার আমিনুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত সাপেক্ষে ১নং আসামি আমার স্বামী হুমায়ূন কবীরের এই সুমন হত্যা কান্ডের ঘটনায় কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন