ঈশ্বরগঞ্জে মৃত্যুর ৩৯ দিন পর কিশোরীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গতকাল দুপুরে কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ১৩ মে তাকে দাফন করা হয়েছিল। জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মো. স্বপন মিয়া ও তার স্ত্রীর ডিভোর্সের পর মেয়ে স্বর্ণা ও অন্য সন্তানদের নিয়ে উচাখিলা বাজারে পরিত্যক্ত সরকারি একটি ভবনে বসবাস করেন। এ অবস্থায় স্বর্ণা গত ১২ মে রাতে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হয়েছে-যক্ষার জীবাণু শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই জীবাণু ব্রেইনের রক্তনালীতে বাসা বাঁধার কারণে স্ট্রোকে মৃত্যু হয়। গত ১৩ মে উচাখিলা ইসলামপুর মাদরাসার কবরস্থানে স্বর্ণার লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু গত ২৪ মে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা করেন নিহত কিশোরীর বাবা স্বপন মিয়া। এতে আসামি করা হয় উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, তার ভাই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. মঞ্জুরুল হক ও তরুণীর মাসহ ৫ জনকে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে লাশ উত্তোলন করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাশপিয়া তাসরিনের উপস্থিতিতে গোয়েন্দা পুলিশ স্বর্ণার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুক আহমেদ জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন