শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দালালদের অভিনব প্রতারণা রাতে সংযোগ সকালে বিচ্ছিন্ন

প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৩ গ্রামের ৫ শতাধিক গ্রামের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এ সময় তিতাস কর্তৃপক্ষ এক হাজার ফুটেরও বেশি পাইপ তুলে নেয়। তিতাস গ্যাসের চন্দ্রা জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক সুরুয আলমের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিশেষ অভিযানে কালিয়াকৈর থানা পুলিশসহ চন্দ্রা জোনাল অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ সফি উদ্দিন আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপক আরিফ মোহাম্মদ বাবু, সহকারী প্রকৌশলী আখেরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগ স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ প্রদান করে মাইকিং করে। স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্নকারীদের তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে এবং বাকিদের ভ্রাম্যমাণ আদলত বা বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ঘোষণার পর কিছু সংখ্যক গ্রাহক স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন করে। এদিকে তিতাস গ্যাসের নির্দেশনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বেচ্ছায় অবৈধ গ্রাহকরা তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে থাকলেও অতি উৎসাহী কিছু সংখ্যক গ্যাস দালালদের অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে পুনরায় সংযোগ দিচ্ছে। অনেকে আবার প্রশাসনের ভয়ে রাতের বেলায় সংযোগ দিচ্ছে এবং ভোরে বিচ্ছিন্ন করছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তিতাসের ঠিকাদার পরিচয়দানকারী কাপাসিয়া উপজেলার জনৈক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এলাকাবাসীর কাছ থেকে রাতারাতি টাকা তুলে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বহাল তবিয়াতে রাখছেন। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন ডাইনকিনি, হরতকিতলা, ভাতারিয়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকার সকল অবৈধ গ্রাহকরা তাদের অবৈধ সংযোগ বা গ্যাসের রাইজার খুলে ফেলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওইসব গ্রাহকদের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন করা লাইন আবার সংযোগ দেয়ার নাম করে আসাদ প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে রাইজার প্রতি ২ হাজার করে টাকা নিয়ে তাদের লাইন সংযোগ দেয়। ডাইনকিনি এলাকার খোকন মিয়া একাধিক কলোনীর মালিক জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে রাইজার প্রতি ৪০ হাজার টাকা ও কোন কোন স্থানে আরোও বেশি টাকার বিনিময়ে গ্যাস সংযোগ নিয়েছি। সরকারি ঘোষণার পর লাইল বিচ্ছিন্ন করে রাখি। গত বৃহস্পতিবার সকালে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ পাইপ লাইন তুলে নিয়েছে। এদিকে উপজেলার কালামপুর, রসূলপুর, বড়ইছুটি, মাঝুখান, ভান্নারা, মুরাদপুর, হরিণহাটি, কাঠুরিয়াচালা, পূর্বচান্দরা, টান কালিয়াকৈর মৌচাক ও আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ লক্ষ্য করা গেছে। তবে এসব গ্রামে বাড়ির পাশ থেকে রাইজার খুলে রাখলেও লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চন্দ্রা জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক মোঃ সুরুয আলম জানান, গ্রাহকরা স্বেচ্ছায় রাইজার খুলে রাখলেও বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ থেকে দুই স্থানের বেশ কিছু পাইপ তুলে নিয়েছি এতে ৩ গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। গ্রাহকরা যাতে টাকা-পয়সা দিয়ে প্রতারিত না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে। এছাড়া বিশেষ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কায্যক্রম অব্যহাত থাকবে। যাতে কোন অবস্থাতেই অবৈধ সংযোগ না রাখতে পারে দালাল চক্ররা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন