ম্যাগনেশিয়াম অ্যালুমিনিয়াম ফসফেস (ষ্ট্রুভাইট) ক্রিস্টাল সংযোজন করে পোল্ট্রির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গুণগতমান সম্পন্ন জৈব সার উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি মানসম্পন্ন জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
রবিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের সভা কক্ষে ‘পোল্ট্রি বর্জ্যরে মানোন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ রোধ’ শীর্ষক এক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. মোখলেছুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশে ৫ মিলিয়ন টন পোল্ট্রির বর্জ্য উৎপাদিত হয় যা বায়ু, পানি ও মাটি দূষণের মাধ্যমে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ৩ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে বর্জ্য পদার্থের গুণগত উপাদানের শনাক্তকরণ, স্ট্রুভাইট সংযোজন, উৎপাদিত জৈব সারে ভারী মৌল শনাক্তকরণ ও রাসায়নিক সারের সাথে এর তুলনা করে মানসম্পন্ন জৈব সার উৎপাদন নিয়ে আমরা কাজ করবো। এর ফলে জৈব সার ব্যবহারে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সহ পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব হবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি।
প্রকল্পে সহযোগী গবেষক হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের পশু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সুমন যুক্ত আছেন।
অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের পশু বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুক্তা খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, ময়মনসিংহ ডিভিশনের পরিবেশ বিভাগের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট ড. মো. মেহেদী হাসান, প্লান্ট এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ হাবিবুল হক। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন