শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ক্ষমতা একচ্ছত্র করতে সরকার রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন করছে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২১, ৮:৩০ পিএম

ক্ষমতাকে একচ্ছত্র করতে সরকার রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পুরো রাষ্ট্রের কাঠামোটাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এটা ভয়াবহ একটা অপরাধ যা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে ভাবনা-আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এবং রাষ্ট্রের যে চরিত্র আমরা নির্ধারণ করেছিলাম -গণতান্ত্রিক চরিত্র, সেই গণতান্ত্রিক চরিত্রকেই তারা পুরোপুরিভাবে বদলে দিতে শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে আর সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও একটা বিশাল ভূমিকা পালন করেছে।

সোমবার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ এন্ড কমিউনিকেশনস-বিএনআরসির উদ্যোগে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্ত: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার পুনরায় লুণ্ঠনের এক নতুন ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আইনগত দিক বলুন, আর সাংবিধানিক দিক বলুন এই সমস্যার সমাধান একমাত্র রাজনৈতিকভাবেই। সেই রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হলে আজকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে কোনো বিকল্প নাই এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর সেজন্য আজকে যেটা বড় প্রয়োজন ঐক্য, জনগণের ঐক্য। সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে, যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে আজকে আমাদেরকে একটা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে, একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তার দিক নির্দেশনা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হবো।

স্থায়ী কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, চোরে শুনে না ধর্মের অনুশাসন। এই সরকারে গায়ের জোরের সরকার, ভোটবিহীন সরকার তারা তো কোনো সময়ে ধর্মের অর্থাৎ আমরা যে সংবিধানের অনুশাসনের কথা বলছি তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) মানবে না। এর একমাত্র সমাধান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা। সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, আমাদের দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প নাই।”

বিএনআরসি‘র পরিচালক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ পরিচালনায় আড়াই ঘন্টার ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার ও ড. মোহাম্মদ জাকরিয়া, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন