বিলুপ্ত প্রজাতি গয়াল পালন, মৎস, কৃষি বিপ্লব ও সমাজ পরিবর্তনের একজন সফল মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন রাঙ্গুনিয়া পদুয়া গ্রামের মো. এরশাদ মাহমুদ। মৎস্য খামারের বাইরেও তিনি গড়ে তুলেছেন বিলুপ্ত প্রজাতি গয়ালের খামার। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের কাছ থেকে প্রথমে ৩টি গয়াল সংগ্রহ করেন। পাহাড়ের বড় জাতের টংগরু ও গয়ালের সম্বনয়ে প্রজনন শুরু করেন। গয়ালকে সাধারণত গরুর মতো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয় বলে খামারি এরশাদ মাহমুদ বলেন। তিনি জানান, কোন গয়াল অসুস্থ হলে সনাতন পদ্ধতিতে বনাজি ওষুধে চিকিৎসা করে প্রথমে সেই গয়ালকে গহীন বনে ছেড়ে দিয়ে আসি। সেটিকে কেয়ারটেকার দিয়ে নজরে রাখি। সুস্থ হলে আবার খামারে নিয়ে আসা হয়। এক যুগের বেশি সময় ধরে গয়াল লালন-পালন করছি। বর্তমানে খামারে শতাধিক গয়াল পালন করা হচ্ছে। এক একটি গয়ালের ওজন প্রায় ২৫/৩০ মন। বনের গয়াল প্রাণীকে পালন করে বিলুপ্ত হওয়া থেকে মো. এরশাদ মাহমুদ রক্ষা করেছেন। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করে বিরাট ভূমিকা পালন করছেন। বর্তমান সরকার গয়ালকে গৃহপালিত পশু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সফল খামারি এরশাদ মাহমুদ বলেন, পদুয়া পাহাড়ি এলাকায় গয়াল পালনের যতেষ্ট উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এক হাজার গয়াল পালনের ইচ্ছা রয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও যারা উপযুক্ত চাকরি থেকে বঞ্চিত, চাকরির পেছনে না দৌঁড়ে গয়াল, মৎস ও ফলজ বাগান করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
এরশাদ মাহমুদকে সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক-চ্যানেল আই’ খামার উদ্যোক্তা হিসেবে ‘পরিবর্তনের নায়ক’ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করে।
কৃষি এবং কৃষককে সম্মানিত করার দেশের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনটি করেছিল স্টান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক এবং চ্যানেল আই যৌথভাবে। এরআগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ‘চ্যানেল আই’ জুড়িবোর্ড তার নাম ঘোষণা করেছিল। নিজ গ্রাম পদুয়া ইউনিয়নে এরশাদ মাহমুদ একজন সফল খামারি। মৎস্য খামারি হিসেবে তিনি সরকারিভাবে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে জাতীয় পর্যায়েও সফল মৎস্য খামারি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন