ফরিদপুর পৌরসভার গোয়ালচামটের একটি ডাস্টবিনের কারণে ১৬নং ওয়ার্ডের প্রায় হাজার নারী পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পাশে, মসজিদ ও সরকারি পশু প্রজনন কেন্দ্র অফিসটির সংলগ্ন পৌরসভার বৃহত্তর এই ডাস্টবিন। জানা যায়, প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা বহন করা গাড়ি করে সকল ধরনের বর্জ্য ও পচা ময়লা এখানে স্তূপ করে পৌরসভার শ্রমিকরা। এরফলে বৃষ্টি থাকুক আর না থাকুক ডাস্টবিনে রাখা এবং জমা করা ময়লা থেকে বানের পানিরমতো পচা পানি বের হয় পার্শ¦বর্তী বাসা বাড়িতে ডুকে পরে। এই পঁচা পানি এলাকার বাসার সামনে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। ফলে অসুস্থ হয়ে পরছেন বহু মানুষ। ঐ পঁচা পানির জীবাণু ডুকছে ঘরের মধ্যেও। এতে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে এলাকার বাসিন্দারা। ডাস্টবিনের আশপাশে উঁপচে পরা পঁচা পানি এখন রাস্তায় ভেসে গেছে। এই ডাস্টবিনটির দক্ষিণ পাশে মাত্র একশ গজ দূরে ২/৩টি হাসপাতাল। পঁচা গন্ধে ভর্তি থাকা রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এখানে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থাও।
এ বিষয় ১৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অ্যাড. অসিত কুমার মজুমদার, সাবেক জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল মিয়া, সম্পাদক ফারুকুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আমরা সকলে বর্ধিত পৌরসভার বাসিন্দা। এছাড়া আমরা ১০০ গুণ বেশি ট্যাক্স দেই কেন দেই। কিন্ত নাগরিক সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত। তারা আরো বলেন, এলাকার ৫০/৬০ জন ভুক্তভোগী এলাকাবাসীকে নিয়ে পৌর মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি দায়িত্ব দিলেন স্থানীয় কমিশনার বিধান সাহার কাছে। তিনি বিগত তিন মাসেও কোনো ব্যবস্থা নেননি।
প্রতিনিধির সাথে কথা হয় কমিশনার বিধানের সাথে তিনি বলেন, ডাস্টবিনটি সরানো সম্ভব নয়। তবে ওয়াল করে পানি এবং দূষিত বায়ু ঠেকানোর ব্যবস্থা করা হবে। কমিশনার আরো বলেন, এই ডাস্টবিনের ময়লা নিয়মিত একটি এনজিওর কর্মীরা নিয়ে যায়। তাদের সাথে পৌরসভার চুক্তি আছে। অন্য জায়গায় নিলে চুক্তি ভঙ্গ হয়ে গেলে পৌরসভার রেভিনিউর সমস্য হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন