শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রাঙ্গুনিয়া ভূমি অফিস সামান্য বৃষ্টিতে কক্ষের ভেতর থৈ থৈ পানি

প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে

রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট ঘাগড়া খিল মোগল তহসীল অফিসে (ভূমি) বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে তহশিল অফিসটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে চালা দিয়ে পানি পড়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ভূমি অফিসের মাধ্যমে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার লালানগর, হোছনাবাদ, রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর, ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার প্রজা থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় হয়ে থাকে। সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ অফিসের চারপাশে সীমানা দেয়াল না থাকায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। সীমানা দেয়াল না থাকার সুযোগে ভূমি অফিসের অনেক জায়গা বেদখলে চলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ভূমি অফিসের চারপাশে যেন ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। রানীরহাট বাজারে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন না থাকায় ময়লার পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। বাজারের সেচ নালা অকেজো হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের পানি ভূমি অফিসের সেচ নালায় ভর্তি হয়ে জমে থাকে দীর্ঘদিন। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ময়লা পানি থেকে মশা-মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র জানায়, ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন তহশিলদার ১ জন, সহকারী তহশিলদার ১জন, পিয়ন ২ জন। প্রতিদিন অফিসে শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঘাগড়া খিল মোগল তহশিল অফিস (ভূমি) স্থাপিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ভবনের কোনো সংস্কার করা হয়নি। মাঝে মধ্যে ছাদের আস্তর মানুষের মাথার উপর খসে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভবনের কাজ না করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুবই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। ঘাগড়া খিল মোগল ভূমি অফিসের তহশিলদার সুমন চৌধুরী বলেন, ভবন নির্মাণের পর থেকে সংস্কার না হওয়ায় পুরো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। টিনের চাল দিয়ে পানি নিচে পড়ে। দেয়াল ফেটে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে কক্ষের মধ্যে পানিতে থৈ থৈ করে। দরজা-জানালা খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। অফিসের চারপাশে সীমানা দেয়াল না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ অফিসটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকে। যার ফলে অফিসের সীমানার ভেতরে স্থানীয়রা ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। বাজারের নালা ময়লায় ভর্তি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পুরো ভূমি অফিসের চারপাশে কয়েক ফুট পানি জমে যায়। এতে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বিষয়টি রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হবে বলে ভূমি অফিসের তহশিলদার জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন