করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার বার বার লকডাউন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় এবং জনগণের জীবন রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার কারণে জনজীবন বিপন্ন হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় সরকারের ভুল পদক্ষেপ, সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারা এবং দ্রুত টিকা এনে জনগণকে টিকার আওতায় আনতে না পারার কারণে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা দেখা যাচ্ছে। সরকারের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমসহ করোনা প্রতিরোধে সামগ্রিক ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার বারবার লকডাউন দিচ্ছে এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সেগুলোও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স বলেন, দিন আনে দিন খায়, নিম্ন আয় এবং কর্মহীন মানুষকে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা না দিয়ে লকডাউন, শাটডাউন বা কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের পদক্ষেপ কখনো কার্যকর কিংবা বাস্তবায়িত হয় না। বরং এতে জনগণের জীবন হচ্ছে বিপন্ন, অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছে জনগণ।
তিনি বলেন, সরকার তাদের অনুগত একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে গিয়ে টিকাসহ করোনা প্রতিরোধের সামগ্রী নিয়ে অবাধ দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়ছে। টিকা কুটনীতিতেও ব্যর্থ হয়েছে নিশিরাতের সরকার। যখন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলছেন-‘সবাই নাকি টিকা দেবে কিন্তু কেউ দিচ্ছে না, সবাই মুলা দেখাচ্ছে’। তখন সহজেই বলা যায়-সরকার টিকা কূটনীতিতে ব্যর্থ হয়েছে। সাহায্য বা উপহারের টিকা দিয়ে সমগ্র জাতিকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। সরকারের আশ্বাসে জনগণ আর আস্থা রাখতে পারছে না। সরকার যদি টিকা সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে মানুষকে দিতে পারতো তাহলে দেশে করোনা পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ আকার ধারণ করতো না, জনগণের জীবন বিপন্ন হতো না, দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হতো না।
করোনা সংক্রমিত জেলাগুলোতে চিকিৎসা সংকট দেখা যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার-পয়েন্ট-হাইফ্লো নজেল, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে এই সংকট আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ, সকলকে অতিদ্রুত টিকার আওতায় এনে নিম্ন আয় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসার আহবান জানান এমরান সালেহ প্রিন্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন