দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বাজিতপুরের বই ব্যবসায়ীরা দুঃসময় পাড় করছে। বই ব্যবসা মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে বেচা কেনা হয়, বন্ধ থাকলে বেচাকেনা হয় না। বাজিতপুর উপজেলায় ২০টি ছোট বড় বইয়ের দোকান আছে। তাদের একটা সমিতিও আছে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশকও বিক্রেতা সমিতি বাজিতপুর উপজেলা শাখা। সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম স্বত্বাধিকারী ছাত্র বন্ধু লাইব্রেরি, সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান স্বত্বাধিকারী পপি লাইব্রেরি। তারা জানান, প্রায় ১৬ মাস ধরে বইয়ের দোকানে কোন বেচা কেনা নাই। বড় কষ্টে আছেন বাজিতপুরের বই ব্যবসায়ীরা। দোকান ভাড়া, কর্মচারিদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, পৌরটেক্স, ব্যাংকের সুদ দিতে হয় নিয়মিত। এতদিনে মূল পুঁজি ভেঙে খেয়ে শেষ। সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার প্রণোদনার ব্যবস্থা হয়নি। ইতোমধ্যে কয়েকটি দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করে অন্য ব্যবসা করছেন। আরও কিছু দিন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, এভাবে লকডাউন চলতে থাকে তাহলে বাজিতপুরে আর বইয়ের ব্যবসা বলে আর কিছু থাকবে না। মনে করেন উপজেলা বাপুস-এর সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন