এদিকে কঠোর লকডাউনে দোকাপাট লোক সমাগম ঠেকাতে ব্যস্থ প্রশাসন বাদ যাচ্ছেনা জরিমানা। অপরদিকে সকল আইনকে তোয়াক্কা না করেই চিলমারীতে জমজমাট পশুরহাট ও জনসামাগম নেই স্বাস্থ্যবিধি। প্রশাসন নিরব। হতাশ সচেতন মহল। আতঙ্কে সাধারন মানুষ। জানা গেছে, সরকারী বিধি নিষেধ না মেনেই কঠোর লকডাউন এর মধ্যে জনসমাগম করে সকল আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জমজমাট পশুরহাট। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বৃহৎ জোড়গাছে লেগেছে পশুরহাটে। উক্ত হাটে উপজেলার ক্রেতা বিক্রেতা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও পশু বেচা-কেনা করতে আসেন শতশত মানুষ। সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বুধবার বসে এই হাট। সেই মতাবেক ঈদুল আজাহাকে সামনে রেখে কঠোর লকডাউনে উপেক্ষা করে রবিবার বসেছে বৃহৎ পশুর হাট। ক্রেতা আমিনুল বলেন, সামনে ঈদ তাই তিনি পার্শবর্তী উপজেলা থেকে এসেছেন গরু নিতে তবে লকডউন এর কথা শুনে তিনি তা হাসিয়ে চলে যান। বিক্রেতা তোফাজ্জল বলেন, তিনি গরু নিয়ে এসেছেন তবে বিধি নিষেধ আছে তা জানেননা বলে, বলেন যদি নিষেধ থাকতো তা হলে কি হাট বসতো। এসময় অনেকে বলেন, ভাই প্রশাসন অনুমতি না দিলে এতো বড় হাট বসে নাকি, আগে আইন দেখে আসেন। শুধু জনসমাগম নয় ক্রেতা বিক্রেতার মুখে মাস্কও লক্ষ করা যায়নি। বৃহৎ এই পশুরহাট লাগলেও নজর পড়েনি যেন প্রশাসনের। অনেকে বলেন, কঠোর এই লকডাউনে প্রশাসন আইন প্রয়োগ করছে জরিমানাও করছে সাথে চলছে লুকোচুরি কিন্তু এতো বড় পশুর হাট কি প্রশাসনের চোখে পড়ে না, সব জেনেও কেন চুপচাপ আছে। আতঙ্কের কথা জানিয়ে সচেতন মহল বলেন, কঠোর লকডাউন আর যে হারে চিলমারীতে করোনা বাড়ছে আর সেই সময় চলছে জমজমাট পশুরহাট সত্যি এটি হাস্যকর। হাট কর্র্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে বিষয়টি এড়িয়ে পরে কথা বললেব বলে জানান। হাট লাগানো হয়েছে বিষয়টি জানেন না বলে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দেখছি।
কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, লকডাউনে হাট লাগানো নিষেধ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন