প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বারবার গণজমায়েত থেকে দূরে থাকার কথা থাকার কথা বলা হলেও সরকারি এই নির্দেশনা অমান্য করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বসেছে পশুহাট। করোনা প্রতিরোধের নিয়ম না জানা গ্রাম থেকে আসা এ সব মানুষের জমায়েতে ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এতে উদ্ধিগ্ন সচেতন মহল।
প্রতি সোমবার ঈশ্বরগঞ্জ পৌরশহরের চরহোসেনপুর এলাকায় বসে এই পশুহাট। বাজারের মাংসের দাম নিয়ন্ত্রনসহ হাট খোলা রাখতে নানা অজুহাত ইজারাদারদের। তবে এ নিয়ে নির্দেশ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। করোনাভাইরাস ছড়ানোর কারণ, প্রতিকার ও তার প্রতিরোধের উপায় জানিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই চলছে মাইকিং, প্রচার প্রচারণা। অথচ পৌরশহরের ভেতরেরই বসছে পশুহাট। গ্রাম-গঞ্জ থেকে এসেছেন অসচেতন হাজার হাজার মানুষ।
বিশাল হাটে পশুর পাশপাশি ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, ধুলো-ময়লা ও গাদাগাদি অবস্থায় চলছে বেচাকেনা। হাঁচি-কাশি, থুতু ফেলা, হাত মেলানো জড়িয়ে ধরাসহ বন্ধ নেই সংস্পর্শে আসার কোন কিছুই। এতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে কারোনা সংক্রমনের। তবে ঝুঁকি জেনেও জীবিকার তাগিদেই এসেছেন বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
আবু ছিদ্দিক মিয়া (৪০) নামে গরুর রাখাল বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমরা আসছি পেটের দায়ে। আমাদের কিস্তি আছে। হাটে না আসলে আমাদের আয় হবে না। আর হাটে আগতদের সচেতন করার পাশপাশি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মেটানো ও বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে হাট খোলা হয়েছে বলে দাবি এ হাটের ইজারাদার বাবুল সরকারের।
শহরের মধ্যে বিশাল এই পশুহাট জায়গা না পাওয়ায় বসছে পাশ দিয়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের আশপাশ। এ কারণে জনগণ আরও বেশী উদ্ধিগ্ন। সমাজকর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, গরুর হাটে বিভিন্ন ধরনের লোক এসে হাত মেলাচ্ছেন। টাকা নিয়ে গণনা করছেন। এই বিষয়গুলো আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাহলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পারবো। কিন্তু অসচেতন মানুষ তা মানছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হুদা খান জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না এ বিষয়ে উপজেলঅ নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই। তবে সামাজিকভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন