মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

লাভের আশায় ক্ষতিকর জেনেও বিষবৃক্ষ চাষে ঝুঁকছে সৈয়দপুরের কৃষক

প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারী জেলায় কৃষকদের তামাক চাষে আগ্রহ বেড়েছে। তামাক আবাদ করে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। ক্রেতারা নগদ অর্থে তামাক চাষিদের বাড়ি থেকে তামাক কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া আমন ধান কাটা শেষ হওয়ার আগেই গম আবাদের উপযুক্ত সময় পেরিয়ে যায়। কৃষকরা বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ করে গম উৎপাদনের আশা করা হলেও গত বছর ফল কম হওয়ায় আবহাওয়া অনকূলে না থাকায় গম আবাদে বার বার মার খাওয়ার পর বিকল্প খুঁজতে গিয়ে এ জেলার কৃষকরা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর জেনেও লাভজনক ফসল তামাক চাষে ঝুঁকে পড়ছে। তামাক আবাদে কৃষকরা নগদ অর্থসহ ন্যায্য মূল্যে তামাক বিক্রির কথা বলছেন। জেলার চাষিরা পর পর কয়েক বছর ধান, আলুসহ নানা অর্থকরী ফসল উৎপাদন করে ন্যায্যমূল্য পাননি। উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণের সময় মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের কবলে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারি কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মী থাকলেও তারা চাষিদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করেন না। কোনো বছর অতি উৎপাদন, কোনো বছর বাজারজাতকরণ, কোনো বছর প্রয়োজনীয় সহায়তার অভাবে জেলার চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে তামাক চাষের কুফল সম্পর্কে জানার পরও জেলার চাষিরা তামাক চাষে ঝুঁকছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা তামাকের ক্ষেতে কোথাও জমিতে নিড়ানি দিচ্ছেন আবার কোথাও সেচ দিচ্ছেন। অনেক জায়গায় অংকুরিত গাছের পরিচর্যা করছেন। কয়েক বছর ধরে জেলায় ধীরগতিতে হলেও তামাক চাষ বেড়েছে। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মো. ইদ্রিস জানান, গত দুই বছর থেকে ধানে লোকসান গুনেছে কৃষকরা। ধানের ন্যায্য দাম পেলে তারা বিড়ি, সিগারেট, গুল ও জর্দার প্রধান উপকরণ তামাক আবাদে ঝুঁকে পড়তো না। তিনি আরো জানান, গত বছর নীলফামারী জেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এবারে তা ৭ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারিভাবে তামাক আবাদে নিরুৎসাহিত করা হলেও ধানের দাম না হচ্ছে তার উল্টোটা। বাড়ছে মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর উপাদান তামাকের আবাদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন