রাউজানের উত্তরসর্তার এলাকার একটি মসজিদ ও আস্তানা শরীফের টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। গত শনিবার গভীর রাতে এঘটনা ঘটে। মসজিদ সংশ্লিষ্ট ও স্থানিয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় গত শনিবার গভীর রাতে হলদিয়া ইউপির ২নং ওয়ার্ডের তোতাগাজী বাড়ি শাহে মসজিদের বারান্দা ও মূল ভবনের দরজার তালা ভেঙে মসজিদের দানবাক্সে রক্ষিত আনুমানিক ১০/১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ঐ মসজিদ সংশ্লিষ্ট আবদুল হামিদ জানান, চোরের দল মসজিদের পাশে দ্বিতল ভবনের তালা ভেঙ্গে ইমাম সাহেবের থাকার রুমটিতে ডুকে খিতাবপত্র কাপড় চোপড় ও টেবিল ডেক্স তছনছ করে পেলে। এদিকে একই ওয়ার্ডের হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) কল্যাণ ট্রাস্টের অফিস রুমটির তালা ভেঙে আলমারিত রক্ষিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, শিক্ষক, বাবুর্চীর জন্য গচ্চিত বেতনের ৪২ হাজার টাকা চোরের দল নিয়ে যায়।
সরেজমিন দেখাযায়, অফিসের রক্ষিত ফাইলপত্রসহ সবকিছু ছড়িয়ে চিটিয়ে পড়ে রয়েছে ফ্লোরে। প্রতিদিনকার মতো আস্তানার দানবাক্সের উত্তেলিত দেড়হাজার টাকাসহ ১টি স্বর্ণের আংটিও নিয়ে যায় চোরের সদস্যরা।
হিসাব রক্ষক মুহাম্মদ হানিফ জানান, আমি খবর পেয়ে রাত ২টা ৫০ মিনিটে এসে দেখি রুমের তালা ভাঙা। ফাইলপত্র সব এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। চোরের দল পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমার ধারনা।
আবদুল কাদের জিলানী কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি আলহাজ্জ মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা দানবাক্সের টাকা দিয়ে দরগাহবাজার জামে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, সুপার, হেফজখানার শিক্ষক, ফোরকানিয়া মাদরাসার শিক্ষক, নূরানী মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন দিয়ে থাকি। কয়েকজনকে বেতন পরিশোধ করা হলেও বাকি শিক্ষকদের বেতনের টাকা অফিসে আমানত হিসাবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু চোরের দল সেই টাকা অফিসের তালা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এদিকে গতকাল সকাল ১১টার দিকে চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির দুজন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।