শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সংস্কারের নামে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ

চরম হুমকিতে বেড়িবাঁধ

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে পাউবোর বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে বাঁধের গা ঘেষে গভীর গর্ত খুঁড়ে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে যে কোন সময় বাঁধ ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে দাবি করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন সুভদ্রাকাটি চাকলার ভুক্তভোগি অধিবাসীরা।
প্লাবনের শিকার এলাকাবাসী জানান, মাটি কেটে নিয়ে রাস্তায় দেওয়ায় রাস্তা উঁচু হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বেড়িবাঁধ নির্মাণে মানা হচ্ছে না নিয়ম কানুন। পর্যাপ্ত পরিমানে ঢাল না রেখে এবং রাস্তার গা ঘেষেই গভীর গর্ত খুড়ে মাটি নিয়ে রাস্তায় দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কোন কোন অংশে ফাটল লেগে তা আবার সেই গর্তে ধসে পড়ছে। এতে একদিকে যেমন রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অন্যদিকে ব্যাপক ঝুঁকির শঙ্কাও বিরাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ভেঙে যাওয়া পয়েন্টগুলোর একটি হচ্ছে সুভদ্রাকাটি ও চাকলার মধ্যবর্তী কাটাখালি অংশের বেড়িবাঁধ। পরবর্তীতে কাঠাখালি অংশে নতুন করে ৭৫০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ করে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসলেও কাজ শুরুর পর থেকে স্থানীয়রা কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় প্রভাষক মো. তৈয়েবুর রহমান বলেন, রাস্তা বেশ উঁচু হচ্ছে কিন্তু রাস্তার একেবারে পাশ দিয়ে গভীর পুকুরের মতো করে এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি নেয়া হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়দিন পর বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে আবার গর্তেও ভেতরে যেয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ইউপি সদস্য জি এম আসলাম হোসেন জানান, কাটাখালীতে সংস্কারাধীন বেড়িবাঁধে রাস্তার পাশে কোনো বক্সার (ফাঁকা জায়গা) রাখা হয়নি। অনেক জায়গায় ফাটল ধরে রাস্তা নিচে নেমে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে খাদ করে মাটি নিলে সাময়িকভাবে কিছুদিন রাস্তা ভালো থাকবে। তারপর আবারো আগের রূপ নেবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কথা হলে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রাস্তার পাশ থেকে মাটি নিয়েছি ঠিক, তবে তা আবার ভরাট করে দিয়েছি। যদিও দু’একটি গর্ত বাকি থাকে, শিগগিরই তা ভরাট করে দেয়া হবে।’
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা দ্রুত তদন্ত করবো। রাস্তা থেকে কমপক্ষে দশ ফিট দূর থেকে মাটি নিতে পারবে। রাস্তার পাশ থেকে গর্ত করে মাটি নেয়ার নিয়ম নাই। যদি এমনটা করে থাকেন তবে অবশ্যই তাকে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। অন্যথায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন